ভারতের প্রত্য়াঘাতের ভয়েই অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দিয়েছিল ইমরান খান সরকার, এমন চাঞ্চল্য়কর দাবিই করলেন পাকিস্তানের সাংসদ তথা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেতা সর্দার আয়াজ সাদিক। পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকের সময় সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পাক যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করেছিলেন অভিনন্দন। এরপরই পাক ভূ-খণ্ডে পড়ে যান অভিনন্দন। তারপরই পাকিস্তানের হাতে বন্দি হন তিনি। টানাপোড়েনের পর শেষমেশ অভিনন্দনকে মুক্তি দেয় ইসলামাবাদ।
ঠিক কী বলেছেন পাক সাংসদ?
বুধবার পার্লামেন্টে সর্দার আয়াজ সাদিক বলেন, অভিনন্দনকে না ছাড়লে ভারতের সম্ভাব্য় হামলার আশঙ্কার কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। সেসময়ই পাক সেনা প্রধান বাজওয়া ঘামছিলেন ও তাঁর পা কাঁপছিল। যদিও পাকিস্তানের শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্য়ে এ নিয়ে কবে বৈঠক হয়েছিল, তা উল্লেখ করেননি সাদিক।
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য করছে এনজিও? জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-এর
ঠিক কী ঘটেছিল অভিনন্দনের সঙ্গে?
পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসে এয়ার স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপরই ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাক যুদ্ধবিমান। গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি আকাশপথে পাক হামলা বানচাল করতে আকাশে উড়ে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি মিগ-২১ বিমান। একটি মিগ-২১ বিমানকে সে দেশে গুলি করে নামায় পাকিস্তান। এরপরই পাক সেনার মুখপাত্র দাবি করেন, অভিনন্দন নামে এক ভারতীয় পাইলটকে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিনন্দনকে ফেরাতে তৎপর হয়ে ওঠে নয়া দিল্লি। “কোনওরকম দর কষাকষি নয়, অবিলম্বে অক্ষত অবস্থায় অভিনন্দনকে ফেরানো হোক,” এই দাবিই পাকিস্তানের কাছে করে ভারত। অভিনন্দনের ঘরে ফেরা ঘিরে চরম উৎকন্ঠা তৈরি হয়। শেষমেশ শান্তি রক্ষার্থে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডারকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত ১ মার্চ ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফেরেন উইং কমান্ডার।
অভিনন্দনের মুক্তি প্রসঙ্গে পাক সাংসদের মন্তব্য়কে হাতিয়ার করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয়কে বিশ্বাসই করেন না কংগ্রেসের যুবরাজ, সে সেনা হোক, কি সরকার কি নাগরিক। ‘সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য় দেশ’ পাকিস্তানের থেকে এটা জানা গেল। আশা করব, উনি এটা দেখছেন’’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন