জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পথে চরম লালসার শিকার হলেন বছর ১৭-এর এক কিশোরী। গাড়ির মধ্যে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই কিশোরী এক জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা নাবালক। তাদের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় ছিল।
ঘটনার কথা প্রথমে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ওই কিশোরী। কিন্তু, তার বাবার সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরই ভেঙে পড়ে সব জানিয়ে দেয় ওই কিশোরী। সে পুলিশকে জানিয়েছে, গাড়ির মধ্যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সে যার জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল, সেই ছেলেটি এক পাবে ছিল।
পরে, দেখা যায় ওই ছেলেটির সঙ্গে আরও তিনটি ছেলে রয়েছে। প্রথমে ওই কিশোরী ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি। বন্ধুদের সঙ্গে সে-ও মদ খেয়েছিল। এরপর তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তোলে ওই চারজন। সেই সময়ই গাড়িতে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা প্রথমে গাড়িটি একটি বেকারিতে নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তারা স্ন্যাক্স কেনে। ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে তারা পাবে নিয়ে যায়। সেখানে রেখেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন- কলকাতায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, সিংহাসনের ৭০ বছরে স্মৃতিমেদুর তিলোত্তমা
ওই কিশোরীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে জানত না যে ওই পার্টিতে অ্যালকোহল খাওয়া হবে। জানলে যেত না। ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, হায়দরাবাদের ওই কিশোরী ধর্ষণের সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার ঘাড়েও আঘাত লেগেছে। পুলিশ ছ'টি সিসিটিভি থেকে ঘটনাস্থলের ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। জিজ্ঞাসা করা হয়েছে গাড়ির চালককে।
এর মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্তদের একজনের বাবা রাজনীতিবিদ। সেই কারণে, ওই অভিযুক্ত এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না পুলিশ। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, বিজেপির মুখপাত্র কে কৃষ্ণ সাগর। পুলিশকে রাজনৈতিক বাধা উপেক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেই তিনি দাবি করেছেন।
Read full story in English