Advertisment

'পাকিস্তানে যাও- মীরাটের এসপির মন্তব্যে ভুল নেই', দাবি উপমুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি বলেছেন, 'পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তির কথা বিবেচনা করা হবে।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য।

"মীরাটের পুলিশ সুপারের 'পাকিস্তান যাও' মন্তব্যে কোনও ভুল নেই"। সাফ জানিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য। পুলিশ আধিকারিকের ওই মন্তব্য দেশের 'সব মুসলমানদের উদ্দেশ্যেও নয়' বলেও সাফাই দিয়েছেন তিনি।

Advertisment

“পাকিস্তানে চলে যাও”। সিএএ বিক্ষোভকারীদের এই বলেই শুক্রবার হুমকি দিয়েছিল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মীরাটে পুলিশ সুপারের সেই হুমকির ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। প্রতিপক্ষ কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। 'বিজেপি পুলিশকে সাম্প্রদায়িক করে তুলছে' বলে অভিযোগ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।

আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানে যাও’, সিএএ বিক্ষোভকারীদের বলল পুলিশ

এবার পাল্টা চাপের কৌশল হিসাবেই উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী পুলিশের পাসে দাঁড়ালেন বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কেশব প্রসাদ মৌর্য্য এদিন বলেন, 'এসপি (সিটি) অখিলেশ এন সিং দেশের সব মুসলিমদের পাকিস্তান যেতে বলেননি। পাথর হাতে যারা পাকিস্তানের হয়ে স্লোগান দিচ্ছিল তাদেরকেই বলেছেন। যারা এই ধরনের কাজ করবে তাদের আর কি-বা বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এসপি ভুল কিছু বলেননি।'

প্রসঙ্গত, গত ২০ ডিসেম্বর হিংসাত্মক আন্দোলন হয় মীরাটে। লিসারি গেটে জনা চারেক প্রতিবাদীকে ধাওয়া করছিলেন এসপি (সিটি) অখিলেশ এন সিং। ভাইরাল এক ভিডিও-তে এসপি সিং-কে বলতে শোনা যাচ্ছে, “কোথায় যাবে, এই গলিটাকে ঠিক করে দেব।” এরপরই স্থানীয়দের দিকে মুখ ঘুরিয়ে উত্তেজিত হয়ে সিং বলেন, “যারা কালো ও হলুদ ফেট্টি বেঁধে রয়েছে তাদের বলে দেবেন পাকিস্তানে যেতে। এখানে খাবে কিন্তু অন্য দেশের গুণ গাইবে, তা চলবে না। এই গলিটা এখন আমার চেনা হয়ে গিয়েছে। কোনও বিষয় আমার একবার মনে গেঁথে গেলে….আমি কিন্তু ওদের দিদিমা পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারি।”

আরও পড়ুন: অরাজকতা-অস্থায়িত্ব-স্বজনপোষণ যুবসমাজের না-পসন্দ: প্রধানমন্ত্রী

ভিডিও-তে দেখা যায় লিসারি গেট এলাকার দু’টি গলির মোড়ে এসপি অখিলেশ এন সিং দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন আরও বেশ কয়েজন পুলিশকর্মী। স্থানীয়দের নিশানা করে পুলিশের উচ্চপদস্থ এই আধিকারিকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, “কিছু হয়ে গেলে কি তোমরা তার মূল্য চোকাবে? প্রত্যেক বাড়ি থেকে বার করে করে গ্রেফতার করে জেলে পুরব।”

একজন পুলিশকর্তা কি বিক্ষোভকারীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে পারেন? বিতর্ক দানা বাঁধতেই নিজের হয়ে সাফাই খাড়া করেন এসপি অখিলেশ সিং। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছিলেন, “পাকিস্তানের হয়ে স্লোগান দেওয়া চলছে জানতে পেরেই আমরা ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। পুলিশ যেতেই ওরা ছুটে পালায়। আমরা জানতে পারি ওরা গন্ডগোল পাকাবার তালে ছিল।”

বিতর্ক ধামাচাপা দিতে মীরাটের এডিজি প্রশান্ত কুমার জানান, 'শব্দ চয়নে আরেকটু সজাগ হওয়া উচিত ছিল সুপারের।' তবে, ভিডিওটি প্রকাশের সময় ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরী পুলিশ সুপারের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, 'এটা গণতন্ত্র বিরোধী। সরকারি কোনও অফিসার এই মন্তব্য করতে পারেন না।'

Read the full story in English

bjp national news police
Advertisment