নাম তার বাহুবলী। রোজ তার চাই এক লিটার করে দুধ, ৫ কিলো ঘাস, আরও কত কী! এমনি এমনি কী তার পাতে এত আয়োজন করা হয়েছে নাকি! এসব খেয়ে দেয়ে যাতে সে হৃষ্টপুষ্ট হয়, শুধু তাই নয়, যাতে তার দৌলতে মোটা টাকা পকেটে ঢোকে, সেজন্যই গত দেড় বছর ধরে তার ডায়েটে জোর দিয়েছিলেন আলি। রাত পোহালেই বকরি ঈদ। বকরি ঈদের বাজারে বাহুবলীর বিনিময়ে মোটা টাকা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন আলি। বুঝলেন না নিশ্চয়ই? বাহুবলী হল একটা ছাগলের নাম, আর আলি হলেন তার মালিক।
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা আলি আহমেদ। মনিমাজরা বাজারে এবার বকরি ঈদের আগে ২০টি ছাগল নিয়ে এসেছেন আলি। কিন্তু ১০টি ছাগল বিক্রি করে তেমন লাভ না হওয়ায় খানিকটা হতাশ তিনি। এখন তাঁর ভরসা এই বাহুবলী। ৪৫,০০০ টাকায় বাহুবলীকে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন ওই বিক্রেতা। এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, "গত পাঁচ বছর ধরে এই বাজারে আসছি। এবার বেশি ছাগল নিয়ে এসেছি। ভেবেছিলাম বেশি টাকা রোজগার হবে। কিন্তু আর একদিন বাকি বকরি ঈদের। মাত্র ১০টা ছাগল বিক্রি হয়েছে, তাও খুব একটা লাভ হয়নি।"
বাহুবলীকে যেখানে ৪৫,০০০ টাকায় বিক্রি করার কথা ভাবছেন আলি, সেখানে বাহুবলীর থেকে ১১ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে করণ-অর্জুন। দুটি ছাগলকে অনেকটা একইরকম দেখতে তাই নাম রাখা হয়েছে করণ, অর্জুন। পাঞ্জাবের মালেরকোল্টার বিক্রেতা করণ-অর্জুনের মালিক। তিনি জানালেন যে, সোমবার সন্ধ্যায় ৫৬,০০০ টাকায় করণ-অর্জুনকে বিক্রি করেছেন তিনি। তবে এবছর যেন ব্যবসায় মন্দা, তেমন লাভ হয়নি বলেই মত ওই বাজারের বিক্রেতাদের। এজন্য সরকারি নিষধাজ্ঞার দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন, Food to celebrate Bakrid 2018: বকরি ঈদের উৎসবে পেটপুজোর প্ল্যান সেরে নিন শেষবেলায়
মনিমাজরার এক বাসিন্দা মহম্মদ আশরাউ বললেন, "একটা ভাল ছাগল নেব বলে গত দু’দিন ধরে এই বাজারে আসছি। মঙ্গলবার দাম অনেকটা কমবে, কারণ বাজারে অনেক বিক্রেতা আসবেন, আর আজই বিক্রির শেষ দিন। ফলে আজই ছাগল কিনব।"
অন্যদিকে, এবছর বাজার মন্দার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুজাফ্ফর নামের চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২৬ এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘প্রতিবছরই হাজার হাজার ছাগল ও ভেড়া বাইরে পাঠানো হয়। এ বছর আমাদের বলা হয়েছে যে, মজুত থাকা কোনও ছাগল বাইরে পাঠানো যাবে না। যে কারণে বহু বিক্রেতা এই বাজারে আসছেন।’’