বেশ কিছুদিন যাবত গুগলে ইংরেজিতে 'ইডিয়ট' লিখলেই সারি সারি ট্রাম্পের ছবিতে ভরে যাচ্ছে গুগল ইমেজ। এই নিয়ে শোরগোল পড়তেই মঙ্গলবার মার্কিন আইনসভার কর্তাব্যক্তিদের মুখোমুখি হতে হল গুগল -এর কর্ণধার সুন্দর পিচাইকে৷ গুগল সিইওকে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন মার্কিন আইনসভার সদস্য জোই লফগ্রেন৷ প্রশ্ন শুনে পিচাই-এর মুখের অভিব্যক্তিই নাকি বলে দিচ্ছিল, মনে মনে রীতিমত হাসছেন তিনি।
জোই লফগ্রেনের প্রশ্নের কী উত্তর দিলেন পিচাই? গুগল সিইও জানান, গুগলে কোনও ছবি খোঁজার পেছনে মূলত ২০০টি বিষয় কাজ করে৷ এর মধ্যে অন্যতম, জনপ্রিয়তা ও প্রাসঙ্গিকতার বিষয়টি৷ অর্থাৎ গুগলে কোনও বিষয় খোঁজ করলে বা অনলাইনে কোনও বিষয় সম্পর্কে মতামত দিতে গেলে, মানুষ যে শব্দের ব্যবহার বেশি করেন, সেই শব্দ বা বাক্যবন্ধ দিয়ে নাকি গুগলে সেটি পরিচিতি পেয়ে যায়৷
আরও পড়ুন, সত্যিই রাশিয়ার সঙ্গে হাত মেলালেন ট্রাম্প? চিন্তায় পড়েছেন জেকে রাউলিং
অর্থাৎ, এক্ষেত্রে ট্রাম্পের বিষয়ে কিছু সার্চ করতে গিয়েও বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ ‘ইডিয়ট’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং তা দিয়েই ট্রাম্পের খোঁজ করেছেন পিচাই-এর সওয়ালের ইঙ্গিত তো সে দিকেই৷ পিচাইয়ের যুক্তি মেনে নিলে, সেই কারণেই ‘ইডিয়ট’ শব্দটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে লিখলেই ভেসে ওঠে মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি৷ উত্তর শুনে চমকে ওঠেন জোই লফগ্রেন-সহ মার্কিন কংগ্রেসের সব সদস্যই৷
লফগ্রেন ফের পিচাইকে বলেন, "তাহলে এর পিছনে গুগলের কোনও কারসাজি নেই বলছেন?” উত্তরে পিচাই বলেন, ”না, নেই”৷ মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে গুগল সিইও-র এই উত্তর৷
তবে এমন 'হাস্যকর' ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এক দশক আগে গুগলে 'মিজারেবল ফেলইয়োর' লিখলে জর্জ বুশের ছবি আসত।