দিল্লির বসন্ত বিহারে রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার কমিশনের দফতরের সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরেই ভিড় আফগান উদ্বাস্তুদের। সময় যত এগোচ্ছে সেই ভিড় বাড়ছে। বালাই নেই করোনাবিধির। আতঙ্কে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। দিল্লি হাইকোর্টও বিদেশি উদ্বাস্তুদের জমায়েতে রাশ টানার কথা বলেছে। তবে, সরকার এখনই জোরাজোরি করতে নারাজ। উদ্বাস্তুদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও আন্তর্জাতিক প্রভাবের কথা বিবেচনা করেই সমস্যা সমাধানে আদালতের থেকে চাইল কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রক।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রেখা পাল্লি নির্দেশ কার্যকর করতে দিল্লি পুলিশকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। আদালতের আশঙ্কা, করোনাবিধি শিকেয় তুলে বিক্ষোভ সংক্রমণের সুপার স্প্রেডারে পরিণত হতে পারে। মঙ্গলবারের মধ্যে পুলিশ পদক্ষেপ না করতে আদলত নির্দেশিকা জারি করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর ইস্যুতে সুরবদল তালিবানের, মুসলিমদের পক্ষে সওয়ালের বার্তা
এর আগে আদালতকে দিল্লি পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল যে, প্রতিদিন প্রায় ৫০০ আফগান উদ্বাস্তু বসন্ত বিহারের রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরের সামনে জড়ো হচ্ছে। উন্নত দেশে তাদেরকে পাঠানো দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। এক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীদের কোভিডবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আফগানদের তরফে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার জন্য ৩১ অগস্ট বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়।
আরও পড়ুন- জল্পনা শেষ, মোল্লা বরাদর-ই নয়া আফগানিস্তান সরকারের প্রধান
বিক্ষোভ প্রদর্শেনর জন্য আফগান উদ্বাস্তুদের কোনও অনুমতি পুলিশ দেয়নি। তবে উদ্বাস্তুদের দেশ ছাড়ার যন্ত্রণা বিবেচনা করেই দাবি পেশের পথ খোলা হয়েছে। এ দিন আদালতকে দিল্লি পুলিশ এখনই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশিকা জারি না করার অনুরোধ করেছে। আন্তর্জাতিক প্রভাবের কথা বিবেচনা করেই এই অনুরোধ বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সমস্যা সমাধানে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন দিল্লি পুলিশের আইনজীবী সত্যকাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও দিল্লি পুলিশ সমন্বয় করে কাজ করছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। তাদের দাবি এই বিক্ষোভ ভারত সরকারের বিরুদ্ধে নয়, রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধে। তাই ভয়ের কোনও কারণ নেই।
যদিও আদালত জানিয়েছে, করোনাবিধি মানতেই হবে। আইন সকলের জন্য সমান। দিল্লিতে করোনাবিধির কারণে যখন বিয়েতে মাত্র ১০০ নিমন্ত্রিত হচ্ছেন তখন আফগান উদ্বাস্তুরা বিধি লংঘন করে কীভাবে ৫০০ জন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন?
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন