করোনাভাইরাসের দাপট ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। বুধবারই দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩৭ জন। সেই প্রেক্ষিতেই এবার 'নীতি বদল' মোদী সরকারের। নভেল করোনাভাইরাসকে সবরকমভাবে মোকাবিলা করতে এবং সংক্রমণ রুখতে হাসপাতালে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে আনা হচ্ছে নতুন নিয়ম। জানা গিয়েছে, রোগীর দেহে করোনার ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে তবেই ভর্তি করানো যাবে হাসপাতালে। নচেৎ থাকতে হবে 'হোম আইসোলেশনেই'।
যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ভারতে, সেখানে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে হাসপাতাল এবং চিকিৎসক মহলের উপর। এছাড়াও আক্রান্ত নয় এমন রোগী করোনার লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হয়ে তাঁর দেহেও সংক্রমণের প্রভাব থেকেই যাচ্ছে। সেসব ক্ষেত্রে সেই রোগীদের বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং ফোনে তাঁদের শারীরিক অবস্থার তদারকি করবেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন- এক দিনে ৪৩৭ জন আক্রান্ত ভারতে, মৃত্যু ছুঁল ৪১
উচ্চপদস্থ সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও যাতে সেই সংস্পর্শে কম আসতে হয়, সেই দিকটিও বিবেচনা করে দেখা হয়েছে। ভারত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনকে করোনা প্রতিরোধমূলক ওষুধ হিসাবে সুপারিশ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ডাক্তার, নার্সরা সংক্রমণের তালিকাভুক্ত হননি, যা স্বস্তি দিয়েছে সরকারকে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জারি করা ক্লিনিকাল পরিচালনার নিয়মাবলী অনুসারে, হালকা লক্ষণ যেমন রোগীদের জ্বর / কাশি / শ্বাসকষ্ট না হলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। রোগীর কাশি, জ্বর ইত্যাদি থাকলে আগে পরীক্ষা করে সেই ফলাফল ইতিবাচক আসলে তবেই ভর্তি করবে হাসপাতাল। যদিও সরকারি সূত্রের খবর পূর্ববর্তী নির্দেশ প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে না। তবে এই নয়া নির্দেশিকাও পাশাপাশি থাকবে।
Read the full story in English