কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় মঙ্গলবারই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেছিল বিরোধীরা। বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বিরোধীরা ধন্যবাদ সম্ভাষণে রাজি হয়েছেন। তখনই কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন তাঁরা। সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে কৃষক আন্দোলন নিয়ে ১৫ ঘণ্টা আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন অধিবেশনের শুরুতে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে সাংসদদের সতর্ক করেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, কিছু সদস্য অধিবেশন মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং করছেন। এটা সংসদের নিয়ম বিরুদ্ধ। রাজ্যসভার অধিবেশনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
এদিন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন, "প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে যা হয়েছে তা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক। আইনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি, এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির আবেদন জানাচ্ছি।" তিনি এদিন ফের কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান সরকারের কাছে। বলেন, "এই সরকারের আগে কোনও বিজেপির মন্ত্রীকে বলতে শুনিনি জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কথা। আমি পঞ্চম শ্রেণি থেকে অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা শুনছি। তাঁকে কোনও দিন এরকম কথা বলতে শুনিনি।"
আরও পড়ুন কৃষকদের সমর্থনে সুর চড়ালেন গ্রেটা থুনবার্গ, পপস্টার রিহানা, ‘তেড়ে এলেন’ কঙ্গনা
এদিন বিজু জনতা দলের সাংসদ প্রসন্ন কৃষি আইন নিয়ে রাজ্যসভায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রকে। বলেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সরকার যদি মৌখিক আশ্বাস দিতে পারে তাহলে কেন দুটো লাইন আইনের নথিতে লিখিথ দিচ্ছে না? তিনি সরকারকে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে বলেন। জানান, "কেন্দ্র ২০১৪ সালে বলেছিল ২০২০ সালের মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তখন কৃষকদের রোজগার কত ছিল এবং এখন কত রয়েছে? দ্বিগুণ কী হয়েছে, যদি নাহয় তাহলে কেন হয়নি? এটা কি সরকারের ব্যর্থতা নয়?"