কখনও মহিলা যাত্রীকে যৌন হেনস্থা তো কখনও সদ্যোজাতকে ট্রেনের কমোডে ফেলে রাখা, এমন হাজারো ঘটনার সাক্ষী ভারতীয় রেল। যত দিন গড়াচ্ছে, ট্রেনে অপরাধের প্রবণতা ততই বাড়ছে। যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে রেলসফর আরও নিরাপদ করতে এবার আরপিএফের হাতে আরও ক্ষমতা তুলে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ট্রেনে চুরি কিংবা মহিলা ও শিশুদের সঙ্গে ঘটে চলা অপরাধের ফয়সালা সরাসরি করতে পারবে আরপিএফ। অর্থাৎ, অপরাধমূলক ঘটনায় এবার মামলা দায়ের বা তদন্ত চালাতে পারবে আরপিএফ।
আরপিএফের ক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি দ্য রেলওয়ে অ্যাক্ট, ১৯৮৯-তে দুটি নতুন ধারা যোগ করার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে। আরপিএফের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। এ প্রসঙ্গে, আরপিএফের ডিজি অরুণ কুমার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ট্রেনে কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে এখন যে আইনি পদক্ষেপ করা হয়, সেই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে, যদি আরপিএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন, এসএমএস ও ওয়েবসাইটে কীভাবে দেখবেন ট্রেনের পিএনআর স্টেটাস?
এখন ট্রেনে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে তার ফয়সালা করে রেল পুলিশ। পাশাপাশি যে রাজ্যে এধরনের ঘটনা ঘটে, সে রাজ্যের পুলিশ গোটা বিষয়টি দেখভাল করে। এই মুহূর্তে রেলে কোনও অপরাধের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া খানিকটা জটিল। বর্তমান আইন অনুযায়ী, রেলে বিক্ষোভ প্রদর্শন হলে, কিংবা জাল টিকিট নিয়ে কোনও যাত্রী রেল সফর করলে, তা মূলত খতিয়ে দেখে আরপিএফ।
উল্লেখ্য, ট্রেনে চুরির ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। ২০১৭ সালে ১৮ হাজারেরও বেশি ট্রেনে চুরির অভিযোগ জমা পড়েছে। ট্রেনের কামরায় মহিলা যাত্রীকে হেনস্থার ঘটনাও আজকের দিনে নতুন নয়। ২০১৭ সালে এহেন অপরাধের সংখ্যাটা ছিল ৪৩২, যা ২০১৬ সালে ছিল ২৯৩। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ট্রেনে মহিলা যাত্রীকে হেনস্থার ঘটনার সংখ্যা ৪১১। অন্যদিকে, ট্রেনে অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপও আনছে আরপিএফ।
Read the full story in English