জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার পর শনিবার সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে দেশের নয়া রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করা হল। গত ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। তবে নতুন মানচিত্রে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফরাবাদ এবং মিরপুরকেও রাখা হয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যে। অন্যদিকে, কারগিল, গিলগিট এবং বালটিস্তানকে দেখানো হয়েছে লাদাখের অংশ হিসেবে। এমনকি শনিবার রাষ্ট্রপতির তরফেও একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছিল যেখানে লেহ, কারগিল, গিলগিট, চিলহাস এবং ট্রাইবাল টেরিটরি অফ ১৯৪৭-কে চিহ্নিত করে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অংশ হিসেবে দেখান হবে।
আরও পড়ুন- ইউরোপীয় সাংসদদের কাশ্মীর ঘোরানোর এত তাড়া কিসের?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, "দু’দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে লেহকে লাদাখের কেন্দ্রশাসিত এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্বারা দ্বিতীয় নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। এমনকি গিলগিট, চিলহাস এবং ট্রাইবাল টেরিটরি অফ ১৯৪৭-রও অন্তর্ভুক্তিকরণের কথা বলা হয়েছিল।" এখানে আরও বলা হয়েছে যে সার্ভে অফ ইন্ডিয়া রাষ্ট্রপতির নির্দেশের ভিত্তিতেই ভারতের নতুন মানচিত্র তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন- ‘সরকারের উচিত যজ্ঞ করে ভগবান ইন্দ্রকে সন্তুষ্ট করা’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ১৯৪৭ সালে জম্মু এবং কাশ্মীর মোট ১৪টি জেলা নিয়ে গঠিত ছিল। সেগুলি হল- কাঠুয়া, জম্মু, উধামপুর, রিয়াসি, অনন্তনাগ, বারামুল্লা, পুঞ্চ, মিরপুর, মুজফরাবাদ, লেহ এবং লাদাখ, গিলগিট, গিলগিট ওয়াজারাত, চিলহাস এবং ট্রাইবাল টেরিটরি।
তবে ২০১৯ সালে ২৮টি জেলায় ভাগ করা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরকে। নতুন জেলাগুলি হল কুপওয়ারা, বান্দিপুর, গান্ডেরবাল, শ্রীনগর, বুদগাম, পুলওয়ামা, শুপিয়ান, কুলগাম, রাজৌরি, রাম্বান, ডোডা, কিশতিভার, সাম্বা এবং কারগিল।
লেহ এবং লাদাখ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কার্গিলকে।
Read the full story in English