করোনা মোকাবিলায় দেশে চতুর্থ দফার লকডাউন 'অন্যরকম' হবে বলে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা যাচ্ছে, আগামী সোমবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হওয়া চতুর্থ দফার লকডাউনে একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে অন্তর্দেশীয় উড়ান ও রেল চলাচল শুরু হতে পারে। আবার কোন এলাকা হটস্পট তা চিহ্নিত করার দায়িত্ব এবার রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির হাতেই থাকছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।
চতুর্থ দফার লকডাউনে স্কুল, কলেজ, মল, সিনেমা হল খোলায় অনুমতি না থাকলেও, কনটেনমেন্ট এলাকা বাদে রেড জোনে সেলুন, চশমার দোকান খোলায় ছাড় দেওয়া হতে পারে। অন্য়দিকে, গ্রিন জোনভুক্ত এলাকা পুরোপুরি খুলে দেওয়া হতে পারে। অরেঞ্জ জোনভুক্ত এলাকায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হতে পারে। তবে রেড জোনের মধ্য়ে কনটেনমেন্ট এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ বজায় থাকবে।
রাজ্য়গুলোর পরামর্শ শোনার পরই এ নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আজকের মধ্য়ে লকডাউন নিয়ে নিজেদের মতামত কেন্দ্রকে জানাতে বলা হয়েছে রাজ্য়গুলোকে। সূত্রের খবর, লকডাউন বজায় রাখার পক্ষে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, অসম, তেলঙ্গানার মতো রাজ্য়গুলো।
আরও পড়ুন: ২০ লক্ষ কোটি প্য়াকেজের তৃতীয় কিস্তি: কৃষিতে ১ লক্ষ কোটি বরাদ্দ, কৃষিজ পণ্য় বিক্রিতে নয়া আইন
সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, লকডাউন তুলতে চায় না কোনও রাজ্য়ই। তবে লকডাউনের মধ্য়ে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ চালু করতে চান সকলে। আগামী সপ্তাহ থেকে রেল ও অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবায় ছাড় মিলতে পারে। তবে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ট্রেন ও বিমান পরিষেবা পুরোদমে পুনরায় চালুর পক্ষে নারাজ বিহার, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের মতো রাজ্য়গুলো।
রেড জোনের মধ্য়ে কনটেনমেন্ট জোন নয়, এমন এলাকায় লোকাল ট্রেন, বাস, মেট্রো পরিষেবা শুরু হতে পারে। নিয়ম মেনে রেড জোনে অটো, ট্য়াক্সি পরিষেবায় ছাড় মিলতে পারে। নন-কনটেনমেন্ট এলাকায় জেলার মধ্য়ে এই পরিষেবায় ছাড় মিলতে পারে। রেড জোন ও অরেঞ্জ জোনে বাজার খোলার সিদ্ধান্ত রাজ্য় সরকারের হাতেই দেওয়া হতে পারে।
কনটেনমেন্ট এলাকা বাদে রেড জোনে অত্য়াবশকীয় নয়, এমন পণ্য়ের হোম ডেলিভারিতে ছাড় দেওয়া হতে পারে। গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনভুক্ত এলাকায় এই পরিষেবায় ইতিমধ্য়েই ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Read the full story in English