উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে সোনার খনির জল্পনা ওড়াল জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সোনভদ্র জেলার সোন পাহাড়ি ও হারদি এলাকায় সোনার খনির হদিশ মিলেছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন জেলা খনি আধিকারিক কে কে রাই। খনিগুলিতে ৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশি সোনা মজুত রয়েছে বলে জানানো হয়। তবে, জিএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল এম শ্রীধর জানিয়েছেন, '৩৩৫০ টন নয়, মাত্র ১৬০ কিলোর মত সোনা মাটির নিচে থাকতে পারে।'
এম শ্রীধর জানিয়েছেন, 'জিএসআই ১৯৯৮-৯৯ এবং ১৯৯৯-২০০০ সালে দু'বার ওই অঞ্চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিল। সেই রিপোর্ট উত্তরপ্রদেশের সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। জিএসআই যে সোনার খোঁজে খনন চালিয়েছিল তার ফলাফল একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। সোনভদ্র জেলায় এরকম কোনও সোনার খনি নেই।' যদিও সোনভদ্র জেলার মাইনিং অফিসার কেকে রাই শুক্রবার দাবি করেছিলেন, সেখানকার সোনপাহাড়ি ও হারদিএলাকায় প্রচুর পরিমাণে সোনা মজুত রয়েছে। যা সব মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজার টনের বেশি।
আরও পড়ুন: সোনার গয়নায় নয়া নিয়ম মোদী সরকারের, হাতে মাত্র এক বছর সময়
জেলা খনি আধিকারিকের দাবি উড়িয়ে জিএসআই ডিরেক্টর বলেন, 'সংবাদমাধ্যমে যে সাড়ে তিন হাজার টন সোনার কথা বলা হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। ওই এলাকায় ৫২৮০৪ টন আকরিক রয়েছে। এবং প্রতি টনে ৩.০৩ গ্রাম সোনা রয়েছে। এবং সেটা হিসেব করলে সবমিলিয়ে ১৬০ কেজির কাছাকাছি সোনা উদ্ধার হতে পারে।'
জেলা খনি আধিকারিক কে কে রাই বলেছিলেন, ‘বন দফতর ও খনি দফতর থেকে খননকাজ শুরু করার জন্য আবেদন জানানো হবে। বন দফতরের অনুমোদন পাওয়া গেলে খননকাজের জন্য ই-টেন্ডার ডাকা হবে। সোন পাহাড়ি এলাকায় খনিতে মজুত রয়েছে প্রায় ২,৯৪৩.২৬ টন সোনা। হারদি খনিতে এর পরিমাণ প্রায় ৬৪৬.১৬ টন।’ সোনা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের ওই এলাকায় অন্য খনিজ পদার্থেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন