ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করতেই বিপদে পড়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। গুজরাটের বহু পড়ুয়া এখন ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে গিয়েও দুর্ভোগে পড়ছেন। রাশিয়া হামলা করতেই বৃহস্পতিবার নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করে দেয় ইউক্রেন। ফলে ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারে বাধা পেতে হয় নয়াদিল্লিকে। এই অবস্থায় কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে তাঁদের পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া সীমান্তে চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু সীমান্তে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, ইউক্রেন-পোল্যান্ডের শেহাইনি-মেদেইকা বর্ডার চেকপয়েন্টে বেশ কিছু ভারতীয় পড়ুয়া ৭২ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন। এখনও তাঁদের উদ্ধার করা হয়নি। ভাদোদরার এক পড়ুয়া দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "শুক্রবার থেকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় আমরা অপেক্ষা করছি। কিন্তু ইউক্রেনীয় বর্ডার গার্ডসরা আমাদের পোল্যান্ডে যেতে দিচ্ছে না। ওঁরা ছেলে-মেয়েদের আলাদা করে দিয়েছে। কিছু মেয়েদের ৪০ ঘণ্টা পর যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ভারতীয়দের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।"
আরও পড়ুন Explained: পরমাণু অস্ত্র সম্ভার তৈরি রাখতে নির্দেশ পুতিনের, ফল কী হতে পারে?
তিনি আরও জানিয়েছেন, "আমাদের লাথি মারা হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে। যাঁরা প্রশ্ন করছে তাঁদের বলা হচ্ছে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যেতে। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।" ভাদোদরার জ্ঞানিশা প্যাটেল তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে রবিবার শেহাইনি বর্ডার পার করেছেন। সোমবার সন্ধেয় ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে পৌঁছেছেন ৩৬ ঘণ্টা পর। তিনি বলেছেন, "বর্ডার চেকপোস্ট পার করার পরও আমাদের ৩৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। ওঁরা আমাদের পাসপোর্টে স্ট্যাম্প মারতে চাইছিল না।"
আরও পড়ুন যুদ্ধের বলি শতাধিক নিরীহ নাগরিক, আলোচনায় বসল ইউক্রেন-রাশিয়া
তিনি বলেছেন, খুব কম ভারতীয় পড়ুয়াকে সীমান্ত পার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংখ্যা বেশি নয় যে বিমান ভর্তি করে ছাড়বে। ইউক্রেনে আমাদের বন্ধুরা এখনও বিপদে রয়েছে, ওঁদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। এদিকে, রাজধানী কিয়েভে ভাদোদরার চতুর্থ বর্ষের এক মেডিক্যাল পড়ুয়া বলেছেন, "ভারতীয় দূতাবাসের নির্দেশেই সবাই ইউক্রেন ছাড়তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভীষণ ভয় করছে, শুনলাম বর্ডারে ভারতীয় পড়ুয়াদের উপর হামলাও হয়েছে।"