আমরা কী খাব সেটাও কি পুরসভা ঠিক করে দেবে? আমিষ খাবারের বিক্রি নিয়ে মামলায় আহমেদাবাদ পুরসভাকে তুমুল ভর্ৎসনা করল গুজরাট হাইকোর্ট। ২৫ জন খাবার বিক্রেতার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে আহমেদাবাদ পুরনিগম। সেই কারণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট তীব্র আপত্তি জানায় পুরনিগমের কাজের উপর। পুরনিগমকে নির্দেশ দেয় আদালত, যত দ্রুত সম্ভব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের জিনিসপত্র যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শুনানির সময় বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব বলেছেন, "পুরনিগমের এত আঘাত লাগছে কীসে?"
এদিন সরকারি কৌসুলিকে আদালত জানায়, "আপনাদের সমস্যা কোথায়, আপনাদের আমিষ খাবার পছন্দ নয়, সেটা আপনাদের সমস্যা। কিন্তু আমি বাইরে কী খাব সেটা কী করে আপনারা ঠিক করবেন, কালকে আপনারা ঠিক করবেন আমি বাড়িতে কী খাব? কর্পোরেশনের কমিশনারকে ডাকুন, আর জিজ্ঞেস করুন উনি কী করছেন। কালকে আপনারা বলবেন আমির আখের রস খাওয়া উচিত নয়, কারণ আমার ডায়াবেটিস হতে পারে। বা কফি স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ!"
উল্লেখ্য, আদালত মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী রণিত জয়ের আবেদনে প্রতিক্রিয়া দেয়। মামলাকারীদের অভিযোগ, পুরনিগম তাঁদের গাড়ি-জিনিসপত্র কোনও সরকারি নির্দেশ ছাড়াই বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে। এই ঘটনা হয়েছে ভাদোদরা, সুরাত, ভাবনগর, জুনাগড়ের মতো পুরনিগমের সিদ্ধান্তের ফলে। এছাড়াও গত মাসে রাজকোটের মেয়র মন্তব্য করেন, আমিষ খাবারের গাড়ি ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করে।
আরও পড়ুন মিলল না ছাড়পত্র, এবার মুখ্যমন্ত্রীর নেপাল সফরে ‘না’ কেন্দ্রের
যদিও সরকারের তরফে আইনজীবী সত্যম ছায়া পিটিশনে জানিয়েছেন, এই মামলা কোনও ভুল বোঝাবুঝির থেকে হয়েছে। আমিষ খাবারের স্টলের বিরুদ্ধে পুরনিগম কোনও অভিযান চালায়নি। বরং রাস্তা দখল করে খাবার বিক্রি করার অপরাধে, যানজটের কারণে এই পদক্ষেপ করেছে পুরনিগম।
তখন বিচারপতি বৈষ্ণব তদন্ত করে দেখতে বলেন, উচ্ছেদের নামে আমিষ খাবার বিক্রেতাদের নিশানা করা হয়েছে কি না। পুরনিগমকে নির্দেশ দেয় আদালত, যত দ্রুত সম্ভব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের জিনিসপত্র যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন