রাজ্যে অনন্য এবং প্রশংসনীয় কাজের জন্য মেডেল পেলেন গুজরাটের ১৬৮ জন পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান পিপি পাণ্ডে। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি তাঁদের এই সম্মান প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ইশরাত জাহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলার অভিযুক্ত ছিলেন পুলিশ কর্তা পি পি পাণ্ডে। সিবিআই চার্জশিটে মোট ২০ জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে হত্যা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং অস্ত্র আইনে অভিযোগ আনে। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় ছিলেন ইশরাত জাহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলার তদন্তকারী তথা সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগপ্রাপ্ত সিটের সদস্য আইপিএস অফিসার মোহন ঝা-ও।
আরও পড়ুন, ইশরাত জাহান সংঘর্ষ মামলায় জামিনপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের পদোন্নতি
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে ১৫ জুন পাকিস্তানের নাগরিক সন্দেহে ইশরাত জাহান, প্রাণেশ পিল্লাই, আমজাদ আলি রাণা এবং জীশান জোহরকে আহমেদাবাদের কোটারপুরে গুলি করে হত্যা করে আহমেদাবাদ পুলিশ। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন ডিসিপি (ক্রাইম) ডি জি বানজারা। সেই সময় জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) পদে ছিলেন পি পি পাণ্ডে। যদিও গুজরাট পুলিশের দাবি তারা গোয়েন্দা বিভাগ থেকে খবর পেয়েছিল ওই চারজন গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যা করতে এসেছিল। এদের মধ্যে দুজন ছিল পাকিস্তানের নাগরিক। আমেদাবাদ সিটি ক্রাইম ব্রাঞ্চ সেদিন যে এফআইআর দায়ের করেছিল, তাতে ইশরাতের পরিচয় দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল সে একজন মহিলা জঙ্গি ড্রাইভারের পাশের সিটে বসেছিল।
আরও পড়ুন, ‘হৃদয়বিদারক, শুনানিতে আর অংশ নেব না’, আদালতকে জানালেন ইসরতের মা
২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসে ১৬৮ জন পুলিশ অফিসারের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৮ জন রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন পি পি পাণ্ডে-ও। বাকি ১৫০ জনকে পুলিশ মেডেলে সম্মানিত করা হয়েছিল। ১৯৮০ ব্যাচের এই আইপিএস পুলিশ অফিসারকে ২০১৩ সালে সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিজিপি (ক্রাইম) পদে নিযুক্ত করা হয় এবং ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় গ্রেফতার হয়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিন পান পি পি পাণ্ডে। জামিন পাওয়ার চার দিন বাদেই তাঁর উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় গুজরাট সরকার এবং দুর্নীতি দমন শাখায় ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের মে মাসে তাঁকে ডিজিপি পদে নিয়োগ করে সরকার।
আরও পড়ুন, প্রজ্ঞা ক্ষমা চেয়েছেন, এবার সোনিয়া-থারুর-মণিশঙ্করকে তুলে পাল্টা আক্রমণ বিজেপির
পাণ্ডে-ই প্রথম অফিসার যিনি মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা সম্মানিত হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে বিজয় রূপানি বলেন, "গুজরাটে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা অতীতের বিষয়। তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া সম্ভব নয়, আমরা তা হতেও দেব না। সকল নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদেরই দায়িত্ব।"
Read the full story in English