গুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের পুত্রের ব্রেন ডেথ হয়েছে। চিকিৎসকরা এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বিচারকের রক্ষীর রিভলভারের গুলিতে আহত হয়ে গতকালই মারা গেছেন তাঁর স্ত্রী। সোমবার সংবাদসংস্থা পিটিআই তাঁর ছেলে ধ্রুবর মস্তিষ্কমৃত্যুর কথা চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে। এর আগে মেদান্ত- দ্য মেডিসিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন ১৮ বছরের ধ্রুবর অবস্থা সংকটজনক এবং তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন, গুরগাঁওয়ের গুলিচালনার ঘটনায় মারা গেলেন বিচারকের স্ত্রী, আশঙ্কাজনক পুত্র
রবিবার এই হাসপাতালেই মারা যান ধ্রুবর মা ঋতু। ঞতুর পরিবারের লোকজন প্রথমে তাঁর মৃতদেহ নিজের বাড়ি হিসারে নিয়ে গিয়ে সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে মত বদলে তাঁরা মেদান্ত হাসপাতালে ফিরে এসে ঋতুর শরীর চিকিৎসার জন্য দান করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত শনিবার গুরগাঁওয়ের ব্যস্ত সেক্টর ৪৯-এর রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে মা-ছেলের উপর গুলি চালায় ৩২ বছরের মহীপাল। সে সময়ে তাঁরা কিছু জিনিসপত্র কিনতে বাডারে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুধু গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্ত কনস্টেবল, আহত দুজনকে গালাগাল দিতে দিতে তাঁদের গায়ে বেশ কয়েকবার লাথিও মেরেছিল সে।
আরও পড়ুন, সেলফি তুলতে গিয়ে ২৭ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু মহিলার
বিচারক কৃষণ কান্ত শর্মা জানিয়েছেন, তাঁকে ঘটনার কথা জানিয়েছিল অভিযুক্ত স্বয়ং। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে তাঁকে ফোন করেছিল মহীপাল, এমনটাই জানিয়েছেম কৃষণকান্ত। অভিযুক্ত মহীপালকে ঘটনার ঘণ্টাদুয়েক পর গুরগাঁও-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়।