শুক্রবার গুরুগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু কট্টরপন্থীদের বাধায় প্রকাশ্যে নমাজ পাঠ করতে না পেরে ফিরতে হল অনেককে। তবে এই প্রথমবার নয়, এ ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ এপ্রিল। গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৩ এলাকায় সেদিন ৬ ব্যক্তি নমাজ পাঠ বন্ধ করার চেষ্টা করেন। এরসঙ্গে তাঁরা প্রকাশ্যে নমাজ পাঠ করার ওপর নিষেধাজ্ঞারও দাবি জানান। অতুল কাটারিয়া চক, সিকন্দরপুর, ইফকো চক, এমজি রোড এবং সাইবার পার্কের কাছে একটি জায়গায় অভিযান চালায় ওই দলটি।
আরও পড়ুন, গণধর্ষণের পর আত্মঘাতী নাবালিকা, হরিয়ানার ঘটনায় চাঞ্চল্য
এরমধ্যে মোট ৩টি জায়গায় প্রকাশ্যে নমাজপাঠ না করার সিদ্ধান্ত তাঁরা মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেহরু যুব সংগঠন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি চ্যারিটিবেল ট্রাস্টের প্রধান ওয়াজিদ খান। পুলিশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁদের মোট ৩৪টি জায়গায় প্রকাশ্যে নমাজ পাঠ না করার কথা বলা হয়েছিল যার মধ্যে যানজটের জন্য ৩টি জায়গায় প্রকাশ্যে নমাজ পাঠ না করার সিদ্ধান্ত তাঁরা মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওয়াজিদ খান।
আরও পড়ুন, জম্মু-কাশ্মীরে স্কুলবাসে পাথর হামলা! নিন্দায় মেহবুবা থেকে বিরোধীরা
সাইবার পার্ক এলাকার কাছে ৩টি জায়গায়, সাহারা মলের কাছে একটি জায়ফায় এবং ইফকো চকের একটি জায়গায় ঐ হিন্দু কট্টরপন্থীর নমাজ পাঠে বাধা দেন বলে খবর। ওই এলাকায় আপাতত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাহারা মল এলাকার কাছে প্রথমে পুলিশ নমাজ পাঠ করতে বারণ করে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলাকালীন একদল যুবক এসে ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের চলে যেতে বলে। একজন ফোনে ছবি তুলতে গেলে, তাঁর ফোনটি ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াজিদ খান। আইএফএফসিও চকে এই দলের লোকেরা স্লোগান দিতে দিতে তাঁদের চলে যেতে বলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। এবিষয়ে তাঁরা পুলিশের মুখ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, গান গেয়ে হুমকির মুখে সোনা মহাপাত্র, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন গায়িকা
এ ঘটনায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কিছু জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন গুরুগ্রাম পুলিশের পিআরও রবীন্দর কুমার। নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার।
সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বেশ কয়েকটি সদস্য সংগঠন খোলা চত্বরে নামাজ পড়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে আগ্রহী। এই সংগঠনগুলির মধ্যে অখিল ভারতীয় হিন্দু ক্রান্তি দল, বজরঙ্গ দল, শিব সেনা, হিন্দু সেনা, স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ এবং গুরুগ্রাম সাংস্কৃতিক গৌরব সমিতি।