ধর্ষকদের কড়া শাস্তির বিধান নিয়ে নতুন অর্ডিন্যান্স পাশ হবার পরও দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনা যে রোখা যাচ্ছে না, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল। এবার দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল হরিয়ানায়। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর নিজের বাড়ির শৌচাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল ওই নাবালিকা। হরিয়ানার নূহ জেলার এই ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার রাতে তাঁর মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নাবালিকার বাবা। সোমবার সকালে ওই নাবালিকা এ ব্যাপারে বাড়িতে জানায়। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে প্রথমে পুলিশের কাছে যাওয়ার কথা ভাবেননি বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। বৃহস্পতিবার মৃতার বাবা বলেন যে, অন্য একটি গ্রামে তাঁর স্ত্রী এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর তিনি নাবালিকার মাকে জানাতে ওই আত্মীয়ের বাড়িতে যান। বিকেলে বাড়ি ফিরে নাবালিকার বাবা-মা দেখেন যে, সে বাথরুমে ছিটকিনি আটকে রয়েছে।
আরও পড়ুন, বিহারে ভিডিওবন্দি তরুণীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার ৪
সেরাতে বোন ও আত্মীয়ের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল ওই নাবালিকা। রাত আড়াইটে নাগাদ নাবালিকার বোন তার বাবাকে জানায় যে, মেয়েটি বাড়িতে নেই। এরপর বাকি পরিজনদের নিয়ে নাবালিকার খোঁজ শুরু করেন তার বাবা। গ্রামের কাছে রাস্তার পাশে নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে তার ভাই ও তুতো ভাই। পরের দিন সকালে গোটা ঘটনা জানায় ওই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। গ্রামের ৩ জন তাকে রবিবার রাতে বাইকে করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে আরও চারজন ছিল বলে দাবি করেছে নির্যাতিতা। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার।নাবালিকার বয়ান তুলে ধরে বাবার আরও অভিযোগ যে, একটা গাড়ির পিছনের সিটে তাঁর মেয়েকে ফেলে ধর্ষণ করা হয়। পরে গাড়ি থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নাবালিকাকে ছুড়ে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন, গাজিয়াবাদে কিশোরীকে ধর্ষণে এবার গ্রেফতার মাদ্রাসার মৌলবী
সোমবার রোজকা মও থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৬এ, ৩০৬ ও পকসো আইনের ৬নং ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার পরও তাদের এখনও গ্রেফতার না করায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন নাবালিকার পরিজনরা। এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ পরিজনরা। অন্য ঘটনাগুলোর মতো এটাও চেপে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশও করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, কিশোরী ধর্ষণ: যাবজ্জীবন সাজা ধর্মগুরু আসারাম বাপুর
থানার এসএইচও জানিয়েছেন যে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে ডিএসপি বীরেন্দর সিং জানিয়েছেন যে, গাড়িতে করে অভিযুক্তরা পালিয়ে গিয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে দুটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।