Advertisment

হাথরাসে মা-ভাইয়ের হাতেই 'খুন' তরুণী, নির্যাতিতার সঙ্গে 'বন্ধুত্ব' এক অভিযুক্তের

''নির্যাতিতা তরুণী আমার বন্ধু ছিল। আমরা দেখা করতাম এবং ফোনে কথা বলতাম। কিন্তু ওর পরিবার আমাদের বন্ধুত্ব মেনে নিয়েছিল না''।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hathras case, হাথরাস

ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

হাথরাসে গণধর্ষণ ও নির্মম অত্য়াচারে দলিত তরুণীর মৃত্য়ুর ঘটনায় নয়া ট্য়ুইস্ট। তরুণীকে তাঁর মা ও ভাইই মারধর করেছেন বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ধৃত ৪ অভিযুক্ত। হাথরাসের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে ধৃত ৪ যুবক জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে নির্যাতিতার বন্ধুত্ব ছিল এক অভিযুক্তের। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার এই বন্ধুত্বে 'আপত্তি' জানিয়েছিল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতাকে তাঁর মা ও ভাই মারধর করেন বলে চিঠিতে দাবি করেছে অভিযুক্তরা।

Advertisment

পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখেছে হাথরাসের ঘটনার অন্য়তম প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ। বাকিরা লভ কুশ, রাম কুমার ও রবি আঙুলে ছাপ দিয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশ সুপারকে ওই চিঠি পাঠায় তারা। চিঠিতে সন্দীপ দাবি করেছে, নির্যাতিতা তরুণী তার বন্ধু ছিল। যার সঙ্গে সে প্রায়ই ফোনে কথা বলত।

চিঠিতে সন্দীপ দাবি করেছে, ''মিথ্য়া মামলায় গত ২০ সেপ্টেম্বর আমায় গ্রেফতার করা হয়। আমার আত্মীয় রাম, রবি ও স্থানীয় যুবক লভ কুশকেও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতা তরুণী আমার বন্ধু ছিল। আমরা দেখা করতাম এবং ফোনে কথা বলতাম। কিন্তু ওর পরিবার আমাদের বন্ধুত্ব মেনে নিয়েছিল না''।

আরও পড়ুন: হাথরাসে অন্য় ছবি, গণধর্ষণে অভিযুক্তদের সমর্থনে বিক্ষোভ ঠাকুর সম্প্রদায়ের

Advertisment

গত ১৪ সেপ্টেম্বর তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে যায় সন্দীপ। সেসময় তরুণীর মা ও ভাইও সেখানে ছিলেন। সন্দীপের অভিযোগ, তরুণীর কথাতেই সেখান থেকে সে চলে যায়। পরে, গ্রামবাসীরা তাকে জানায় যে তরুণীর পরিবার তাঁকে মারধর করেছে কারণ, তরুণীর সঙ্গে সন্দীপের বন্ধুত্ব রয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ''ওর মা ও ভাই ওকে মারধর করেছেন। গুরুতর ভাবে জখম হয় এবং তারপরই মৃত্য়ু হয়। আমি কখনও ওকে মারধর করিনি বা অন্য়ায় কিছু করিনি। ওর মা ও ভাই আমার ও আরও ৩ জনের নামে মিথ্য়া মামলা করেছেন এবং আমাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। আমরা নির্দোষ। দয়া করে এ ঘটনার তদন্ত করে সুবিচার দেওয়া হোক আমাদের''।

আরও পড়ুন: হাথরাসের অভিযুক্তদের সমর্থনে সভা, বিজেপি নেতা-সহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে FIR

অভিযুক্তদের চিঠি প্রসঙ্গে আলিগড় জেলের সিনিয়র সুপারিন্টিডেন্ট অলোক সিং জানান, ''হাথরাসের পুলিশ সুপারকে উদ্ধৃত করে আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে ওরা। আইন মোতাবেক, আমরা চিঠিটি হাথরাস পুলিশকে পাঠিয়েছি''।

যদিও নির্যাতিতার বৌদির দাবি, ''তরুণীর কোনও সেলফোন ছিল না এবং জানত না কীভাবে তা ব্য়বহার করতে হয়। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওরা আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। আমার স্বামী ও শ্বশুরমশাই খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত। সন্দীপ আমার ননদকে কয়েকমাস ধরে হেনস্থা করত''।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

national news
Advertisment