দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালকে মনে আছে? সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের মাঝে পড়ে খুন হতে হয়েছিল তাঁকে। গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর মৃত্যু। সেই মামলায় শুক্রবার অভিযুক্ত পাঁচজনকে জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্টে।
সেইসঙ্গে জানাল, প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। প্রতিবাদ করা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে গণতন্ত্রে। যারা অধিকার প্রয়োগ করছে তাদের কারাবাসকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য প্রতিবাদ করার একমাত্র কাজ "অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়"।
দিল্লি পুলিশ ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানোর অভিযোগে। ওই জমায়েতেই মৃত্যু হয় দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালের। আদালতের রায়, "বেআইনি জমায়েতে ছিলেন বলে সবাইকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা যায় না।"
যে পাঁচজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁদের নাম হল ফুরকান, আরিফ, শাদাব আহমেদ, সুভালিন এবং তবস্সুম। গত ১৭ মাস ধরে তাঁরা কারবন্ধি ছিলেন। বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ বলেছেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে সবাইকে সন্দেহের ছাতার তলায় আনা যাবে না। তথ্য ও পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।"
আরও পড়ুন ‘যে চার্জশিট বানিয়েছে সে সাম্প্রদায়িক, আমি নই’, আদালতে সরব উমর খালিদ
ফুরকানকে জামিন দেওয়ার পর আদালত জানায়, ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিতির কোনও ভিডিও ফুটেজ নেই। প্রমাণের অভাবে তাঁকে অভিযুক্ত করা যাবে না। আরিফ, শাদাবের ক্ষেত্রে ভিডিও ফুটেজে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাতে এদের উপস্থিতি স্পষ্ট নয়। তবস্সুমের জামিনের আদেশ দিয়ে আদালত বলে, ভিডিওতে কিছু বোরখা পরা মহিলাকে দেখা যায় যাঁরা পুলিশকে নিগ্রহ করেছে। কিন্তু এই মহিলার উপস্থিতি সেখানে পরিষ্কার নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন