চলতি বছরেই দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। নির্ঘন্ট প্রকাশের পর ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে কেন মোদীর ছবি দিয়ে প্রচার হবে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। মমতা শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচনী রাজ্যগুলিতে মোদীর ছবি কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে ব্যবহার করা যাবে না তাই জানিয়ে দেয় কমিশন।
যদিও বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের আদেশ মেনে নির্বাচনী-রাজ্যগুলিতে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবিতে মাস্ক পরাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক এমনটাই জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে মোদীর মুখ বুঝতে পারা যাবে না বলেই মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘৩-৪ দিনের মধ্যেই প্রচারে ফিরব’, ভিডিও বার্তায় সবাইকে সংযত থাকার বার্তা মমতার
গত সপ্তাহে কলকাতায় নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রচারক হয়েছিলেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে তিনি জনসভায় তাঁর দলের সমর্থন চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে, টিকাদান শংসাপত্রে তাঁর ছবি ব্যবহার ভোটারদের প্রভাবিত করার অনুরূপ এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অনুরূপ।”
আরও পড়ুন, ‘নাটকের সবে শুরু, আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটানো হতে পারে’, সতর্কবার্তা দিলীপের
ভোটের দিন ঘোষণার পর পরই চালু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। তারপরও করোনার টিকাকরণের ডিজিটাল সার্টিফিকেটে কেন থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি এবং নাম? এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েই গত বুধবারই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় কমিশনে। যার প্রেক্ষিতে গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে জানতে চায় নির্বাচন কমিশন। তারপরই করোনার টিকাকরণের ডিজিটাল সার্টিফিকেট থেকে মোদীর নাম ও ছবি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত যে 'পাল্টা চাল' এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন