সাতের দশক থেকে হিন্দুকুশ হিমালয়ে উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটা। বিশ্বের অন্যতম উঁচু পর্বতমালা থেকে অনেক গুণ বেশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এই অঞ্চলে। তার জেরে বরফ গলার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সোমবার ষষ্ঠ আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর ও উদ্বেগজনক কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্য়াল মেটেরোলজি, পুনের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আর কৃষ্ণণ বলেছেন, হিন্দুকুশ হিমালয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হিমবাহ গলার পরিমাণ বাড়ছে। প্যানেল যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে এই লেখকের একটি অধ্যায় রয়েছে। তিনি বলেছেন, উল্টোদিকে তিব্বতীয় মালভূমি অঞ্চলে কারাকোরাম হিমালয়ে তাপমাত্রার তারতম্য ততটা লক্ষ্যণীয় হয়নি।
কৃষ্ণণ বলেছেন, কারাকোরাম হিমালয়ে হিমবাহের আস্তরণ এখনও পর্যন্ত অটুট রয়েছে। বরং বরফের ঘনত্ব বেড়েছে। এই শতকে আগামী সময়ে আইপিসিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, হিন্দুকুশ হিমালয় এবং তিব্বতীয় মালভূমিতে আরও বরফ গলবে। হিমালয় পর্বতমালা ভূমি ও সমুদ্রে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতে মরশুমি বৃষ্টিপাতের নেপথ্যেও হিমালয়ের ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন সাবধান! জীব অস্তিত্ব সঙ্কটে, এই শতকেই দুই ডিগ্রির বেশি বাড়বে উষ্ণায়ন
প্রসঙ্গত, বিশ্ব উষ্ণায়নে আরও বড়সড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে আইপিসিসি। আগামী শতক অর্থাৎ ২১০০-এর মধ্যে গড়ে ২ ডিগ্রির বেশি বাড়বে পৃথিবীর তাপমাত্রা। প্রাক- শিল্পায়নের যুগের তুলনায় এই বৃদ্ধি উদ্বেগ জনক। এমনটাই জানিয়েছে ওই কমিটি। অবিলম্বে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন রোধে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইপিসিসি। জলবায়ু পরিবর্তন তদারকি কমিটি আইপিসিসি বা আন্তঃসরকার কমিটি। তারাই সম্প্রতি ষষ্ঠ সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টের প্রথম ভাগেই এই উদ্বেগের কথা বলা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন