আজকের দিনেই ১৯৪৮ সালে মৃত্যু হয়েছিল মহাত্মা গান্ধির। ভারতের স্বাধীনতার অন্যতম প্রাণপুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন আরএসএস সদস্য নাথুরাম গডসে। রবিবার গান্ধির মৃত্যুদিনে গডসে এবং তাঁর সহযোগী নারায়ণ আপটেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিল হিন্দু মহাসভা। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে তারা পালন করল 'গডসে-আপটে স্মৃতি দিবস'।
হিন্দু সংগঠনটি এদিন গোয়ালিয়রে জেলবন্দি নেতা কালীচরণ মহারাজকে 'গডসে-আপটে ভারতরত্ন' সম্মান দিল। গত ডিসেম্বরে মহাত্মা গান্ধিকে নিয়ে কুমন্তব্য করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ছত্তিশগড় পুলিশ। রায়পুরের ধর্ম সংসদে আপত্তিকর মন্তব্য করেন এই সাধু।
হিন্দু মহাসভার জাতীয় সহ-সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "এদিন ভারত মাতার আরতি করে ভারত-পাকিস্তানকে সংযুক্ত করে অখণ্ড ভারত গড়ার শপথ নিয়েছি আমরা। আমরা ৩০ জানুয়ারি 'গডসে-আপটে স্মৃতি দিবস' পালন করছি ১৯৪৮ সালে এইদিনে তাঁদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে।"
আরও পড়ুন পেগাসাস বিতর্ক: দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের খবরের তদন্ত হোক, কমিটির কাছে দাবি এডিটরস গিল্ডের
এদিকে, যখন গোটা দেশ রবিবার মহাত্মা গান্ধির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, সেখানে উল্টো রাস্তায় হিন্দু মহাসভা। ভরদ্বাজ বলেছেন, "হিন্দু মহাসভা কালীচরণ-সহ পাঁচ হিন্দু নেতাকে 'গডসে-আপটে ভারতরত্ন' সম্মানে ভূষিত করেছে। কালীচরণের সম্মান গ্রহণ করেছেন প্রমোদ লোহপাত্রে।" এদিন ভরদ্বাজ দেশভাগের জন্য গান্ধিকে দোষী ঠাওরে বলেছেন, "গান্ধির জন্যই লাখ লাখ হিন্দু ঘরছাড়া-খুন হয় দেশভাগের সময়।"
ভরদ্বাজের আরও দাবি, "হিন্দু মহাসভা দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক অবদান রেখেছে। দেশবাসীর বিভ্রান্ত না হয়ে এটা জেনে রাখা উচিত ভারচ চরকার জন্য স্বাধীনতা পায়নি।" তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবং বিজেপি মানুষকে সাধু-সন্তদের বলিদানের বিষয়ে জানতে দেয়নি। তাঁর কথায়, "সাত লক্ষ সাধু-সন্ত স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন।"