ছাড়পত্র পেয়ে গেল জেট এয়ারওয়েজ। বাকি কাজকর্ম প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। নিরাপত্তা নিয়ে ছাড়পত্রটাই কেবল বাকি ছিল। এবার সেটাও শেষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুরক্ষার ছাড়পত্র দিয়ে দিল। এটারই অপেক্ষা ছিল। সেটা মিটতেই জেট এয়ারওয়েজ এবার জানিয়ে দিল, তারা কয়েক মাসের মধ্যেই বাণিজ্যিক ফ্লাইট অপারেশন চালু করে দিচ্ছে।
ইতিমধ্যেই জেট এয়ারওয়েজের মালিকানা বদলে গিয়েছে। আগে ছিল নরেশ গোয়েলের অধীনে। গোয়েলরা আর্থিক টানাটানির জন্য সংস্থা চালাতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত বন্ধই করে দিতে বাধ্য হয়। শেষ ফ্লাইট চলেছিল তিন বছর আগে, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল। এখন জেট এয়ারওয়েজের মালিকানা জালানদের। জালান-কালরক কনসোর্টিয়াম এর মালিক। এয়ারলাইন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই জেট এয়ারওয়েজ পরীক্ষামূলকভাবে হায়দরাবাদ বিমানবন্দর থেকে প্লেন চালিয়েছে। ৬ মে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জেট এয়ারওয়েজকে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে লিখেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুরক্ষার ছাড়পত্র সংস্থা চেয়েছিল। আবেদন অনুযায়ী সেই ছাড়পত্র দেওয়া হল।
এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে বিমান চালিয়ে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএর কাছে নিজেদের প্রমাণ করেছে জেট এয়ারওয়েজ। এবার ডিজিসিএর এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট দরকার। এজন্য পরীক্ষামূলক নয়। বিমান সংস্থাটিকে তাদের বিমান অন্য সংস্থার মতোই বিমান চালাতে হবে। যাতে প্রমাণ হবে, বিমানগুলোর যন্ত্রপাতি বসে যায়নি। অথবা, এই সব বিমান চালালে কোনও অসুবিধা নেই। নিরাপদে বিমানগুলো চালানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন- মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ, জয়পুর-দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, FIR দায়ের
ডিজিসিএর সেই সার্টিফিকেট পেলেই আর নিয়মিত বিমান চলাচলে কোনও বাধা থাকবে না জেট এয়ারওয়েজের। যাত্রীদের নিয়ে যাত্রীবাহী বিমান যেভাবে যাতায়াত করে, বাণিজ্যিক বিমানকেও সেই একরকম ভাবে চালিয়ে প্রমাণ করতে হয়। সেখানে বিমানসেবক ও সেবিকারা থাকেন। একেবারে যাত্রীবাহী বিমানের মতই। সেসব ঠিকঠাক ভাবে প্রমাণের পরই মিলবে ডিজিসিএর সার্টিফিকেট।
Read story in English