অন্য যৌনতার মানুষরা যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হন। এ কোনও অধিকারকর্মী বা এলজিবিটি গোষ্ঠীর অভিযোগ নয়, এ পর্যবেক্ষণ সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচারপতির।
“They (LGBT) do not get proper medical care because of these inhibitions even in the medical fraternity”, says Justice Indu Malhotra @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) July 12, 2018
বেঞ্চের একমাত্র মহিলা বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা এদিন একই সঙ্গে আরও বলেছেন, ‘‘সমকামীরা পারিবারিক চাপের জন্য নিজেদের যৌনতার কথা গোপন করতে বাধ্য হন এবং অনেক ক্ষেত্রে বিয়েও করে ফেলেন। হতাশা থেকেই বহুসময়ে তাঁরা উভকামী হয়ে যান। যেসব সন্তানরা জানতে পারে যে তাদের বাবা বা মা সমকামী, তাদের মানসিক ট্রমার কী হবে!’’ একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়েছেন, শুধু মানুষ নয়, প্রায় ১০০ অন্য প্রজাতির জীব রয়েছে যারা সমকামী।
“That also is one reason for bisexuality. Homosexuals don’t disclose there sexuality & due to family pressure etc get into marriages. Then frustration etc leads to bisexuality. And what about trauma of off springs who come to know one parent is homosexual”: Justice Indu Malhotra
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) July 12, 2018
Justice Indu Malhotra: there are several ramifications of treating this as illegal. It’s only s variance. Not just humans, there are 100’s of which indulge in same sex relations”. @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) July 12, 2018
৩৭৭ ধারা অবলুপ্ত হবে কিনা সে নিয়ে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। পাঁচ সদস্যের এই বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। এ ছাড়া ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এ এম খানউইলকর, আর এফ নরিম্যান, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দু মালহোত্রা।
আরও পড়ুন, ৩৭৭ ধারা বাতিল: সম্মতিপূর্বক সমকাম নিয়ে অবস্থান নিল না কেন্দ্র
এ প্রসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা আইনের ২১এ ধারার কথা তুলে বিচারপতি চন্দ্রচূড় মনে করিয়ে দেন, যৌনপছন্দের জন্য কেউ যে বৈষম্যের শিকার হতে পারেন না, তা সংসদেও স্বীকৃত হয়েছে।
Justice D Y Chandrachud refers to section 21A of the Mental Healthcare Act which says “there shall be no discrimination on any basis including gender, sex, sexual orientation, religion, culture, caste, social or political beliefs, class or disability”. @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) July 12, 2018
আবেদনকারীদের পক্ষে এক আইনজীবী অশোক দেশাই সওয়াল করেন, দীর্ঘদিন আগেও এ দেশে সমকামী সম্পর্কের প্রচলন ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রাচীন ভারতের সঙ্গে কোম্পানি রাজত্বের ভারতের উদাহরণ তুলে ধরেন।
During the days of the East India Company, there were many English who would say let’s go to India as it has a free society. Thus continued till Christianity took the view that it is sinful, says Desai @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) July 12, 2018
প্রবীণ আইনজীবী কৃষ্ণণ ভেনুগোপাল আদালতে বলেন, ৩৭৭ ধারার কারণে সমকামীরা তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে বলতে পারেন না, এর ফলে তাঁদের বাকস্বাধীনতার অধিকার খর্বিত হয়।
৩৭৭ ধারা বহাল রাখার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী দুটি সংগঠনের পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, কেন্দ্র সরকার সম্পূর্ণ উল্টোদিকে হেঁটেছে। এর উত্তরে বিচারপতি খানউইলকর বলেন, একে উল্টোদিকে হাঁটা বলে না। পুট্টুস্বামী রায়ের পর একে আইনের ক্রমবিকাশ বলেও দেখা যেতে পারে।
৩৭৭ ধারা বাতিল নিয় এই বেঞ্চের পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।