বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে ভয়াবহ নৌকোডুবিতে ২৪ জনের মৃত্যু হল। এখনও নিখোঁজ অন্তত ৩০ জন। মৃতদের মধ্যে আটটি শিশু, ১২ জন মহিলা এবং চার জন পুরুষ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আউলিয়া ঘাটের কাছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহালয়া উপলক্ষে মাড়েয়া বাজারের আউলিয়া ঘাট থেকে ৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ভুটভুটি বরদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় প্রথম থেকে নৌকোটি দুলতে শুরু করে। ঘাট থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর সেই দুলুনি বেড়ে যায়। মাঝি নৌকো ঘাটে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও বাকিরা ডুবে যান। ঘটনার পর প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই আট যাত্রীকে বোদা উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের বাঁচানো যায়নি। সেখানেই মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন আহত যাত্রী এখন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। মৃতদের পরিবারপিছু ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি, যাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঘটনায় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন- গেহলটের পরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কে? চাপা উত্তেজনা, কংগ্রেস বিধায়কদের মুখে কুলুপ
দমকল, পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা ঘটনার পর থেকে লাগাতার নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন। বোদা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদের সকলকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত দু'দিন ধরে ওই এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে নদীতে জল বেশি ছিল।
বরদেশ্বরী মন্দিরে প্রতিবারই মহালয়া উপলক্ষে বড় করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পুণ্যার্থীরা সেই উৎসবে যোগ দেন। নিখোঁজদের মধ্যে অনেকেই মারা গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। সেই কারণে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের আশঙ্কা।