Tripura: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। পিছিয়ে গেল হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের শুনানি। আগামী এক মাস জেলেই কাটাতে হবে তাঁকে।
আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে সওয়ালের 'অপরাধ', বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের হাতে আক্রান্ত আইনজীবী রমেন রায়। এরপরই প্রাণভয়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন এই মামলার সঙ্গে জড়িত আরও একাধিক আইনজীবী। এদিন আদালতে পৌঁছাতেই পারেননি আইনজীবীরা। অভিযোগ, অনেকের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। কারুর কারুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরণের মামলাও দেওয়া হয়েছে। একাধিক আইনজীবীর বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিপ্তে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ত্রিপুরায় হোটেল মালিক সংগঠন। রাজ্যের কোন হোটেলে আর থাকতে পারবেন না বাংলাদেশিরা। ত্রিপুরা হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে থাকা রাজ্যজুড়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগরতলায় বিক্ষোভ ও বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঘোষণা করেছে যে বাংলাদেশি নাগরিকদের আর রাজ্যের কোন হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।বাংলাদেশে হিন্দু সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার এবং সেখানকার হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কারণে আগরতলায় সাম্প্রতিক বিক্ষোভের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে সওয়ালের 'অপরাধ', বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের হাতে আক্রান্ত আইনজীবী রমেন রায়
বিজ্ঞপ্তি জারি: ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঘোষণা করেছে যে এখন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের রাজ্যের হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে মেনে চলা: হোটেলগুলিকে তাদের ফ্রন্ট ডেস্কে বাংলাদেশি নাগরিকদের থাকার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পোস্টার লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হোটেলে তল্লাশি আরও কঠোর করার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি: হোটেল মালিক সমিতির সম্পাদক ভাস্কর চক্রবর্তী বলেছেন, সমস্ত হোটেল মালিকরা এই সিদ্ধান্তে একমত এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিষেবা না দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই কার্যকর করা হবে।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য নো এন্ট্রি: বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননার পরিপ্রেক্ষিতে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশি পর্যটকদের তাদের পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অথরো’র সাধারণ সম্পাদক সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং আমরা সকল ধর্মকে সম্মান করি। আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের মৌলবাদীদের একটি অংশ সংখ্যালঘুদের হয়রানি করছে। এমন ঘটনা আগেও ঘটত, কিন্তু এখন সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক'।