Chinmay Krishna Das Arrest Update: বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করার জের। বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের হাতে আক্রান্ত আইনজীবী রমেন রায়। তাঁর উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ জানিয়েছেন, কলকাতা ISKCON-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। রমেন রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, নৃশংসভাবে তাঁকে মারধর করেছে কট্টরপন্থীরা, এমনই অভিযোগ রাধারমণ দাসের। মারধরের জেরে আইসিইউ-তে ভর্তি আইনজীবী। এই মুহূর্তে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন, এক্স হ্যান্ডেলে এমনই দাবি রাধারমণ দাসের।
এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে জেলবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। গত সোমবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ সরকার। ৮ দিন ধরে জেলবন্দি চিন্ময় প্রভু। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি। তিনি কি জেলমুক্ত হবেন, সেইদিকেই নজর সবার।
গত মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন রমেন রায়। মঙ্গলবার ফের সওয়াল করার কথা ছিল। তার আগেই রমেন রায়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশেরই একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই ছবি পোস্ট করেছেন রাধারমণ দাস।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তাঁর পর আরও দুই হিন্দু সন্ন্যাসীকে জেলে পুড়েছে মুহাম্মদ ইউনুসের প্রশাসন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জেলে খাবার দিয়ে ফেরার সময় তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় চট্টগ্রাম আদালত। তার পর তাঁকে জেলে খাবার দিতে গিয়েছিলেন দুই সন্ন্যাসী। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন ৮ দিন ধরে জেলবন্দি, আজ কি জামিন পাবেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, ইসকনের সন্ন্যাসীর কী অবস্থা এখন?
চিন্ময়কে গ্রেফতারির ঘটনায় দিন দিন বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। পদ্মাপাড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পরিস্থিতি অবনতির দিকে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫৪ জন ইসকনের সন্ন্যাসীকে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার সময় আটকে দিয়েছে সেদেশের প্রশাসন। পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে সেখানে।
আরও পড়ুন ওপার বাংলায় আক্রান্ত হিন্দুরা, ভিসা বন্ধ ভারতের, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার হিড়িক বাংলাদেশিদের
চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পরই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনী ও তাঁর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই সময়ই প্রাণ যায় এক আইনজীবীর। প্রথম আলো সূত্রে খবর, এরই মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আসামি করার দাবি তুলেছেন একশ্রেণীর আইনজীবীরা।