/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/Shashi-Tharoor.jpg)
শশী থারুর
টিআরপি কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস হওয়ার পর থেকে সরগরম গোটা দেশ। মুম্বই পুলিশ টাকার বিনিময় চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর খেলায় মত্ত এমন দুই নিউজ চ্যানেলের শীর্ষ কর্তাকে গ্রেফতার করেছে। এফআইআরে নাম রয়েছে রিপাবলিক টিভির মতো বড় চ্যানেলের। এই কেলেঙ্কারির আঁচ এবার সংসদেও পৌঁছে গেল। জানা গিয়েছে, শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি এই টিআরপি কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করবে। আলোচনা হবে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত চ্যানেলের কর্তাদেরও ডাকা হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
এই কমিটির একজন সদস্য তথা সাংসদ কার্তি চিদম্বরম জানিয়েছেন, শশী থারুরকে চিঠি লিখে বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শুক্রবার সেই চিঠিতে কার্তি লিখেছেন, টিআরপি কেলেঙ্কারি নিয়ে টেলিভিশন মিডিয়া এবং গোটা সিস্টেমের উপর মানুষের আস্থা নড়ে গিয়েছে। টিআরপির উপর নির্ভর করে চ্যানেলে কোন বিজ্ঞাপন চলবে। দর্শকদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে চ্যানেলগুলি। এটা নিয়ে আলোচনা দরকার। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সংসদীয় কমিটির এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ দরকার।
আরও পড়ুন টিআরপি কেলেঙ্কারি! রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, নোটিস দিল পুলিশ
কমিটির পরবর্তী বৈঠক রয়েছে আগামী ১৫ অক্টোবর। সেই বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের নৈতিকতা নিয়ে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এবং প্রসার ভারতীর সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা। গত কয়েক মাসে সুশান্ত মৃত্যু নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলি যেভাবে নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে কভারেজ করেছে তা নিয়ে বিরক্ত সবমহল। সেখানেই টিআরপি কেলেঙ্কারি নিয়েও আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং সাংবাদিক সম্মেলনে টিআরপি কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করেন। তিনি বলেন, টিআরপি কারচুপিতে যুক্ত তাবড় তাবড় চ্যানেল। এফআইআরে নাম রয়েছে অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভি, ফক্ত মারাঠি এবং বক্স সিনেমার চ্যানেলের।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন