সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি হায়দরাবাদ এনকাউন্টার সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করুন। বুধবার সর্বোচ্চ আদালত এই মর্মেই প্রস্তাব দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, 'হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে পশুচিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে চার জনের বিরুদ্ধে। পরে এনকাউন্টারে মৃত্য হয় তাদের। সেই মামলারই তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নাম প্রস্তাব করা হয়।'
সিট গঠন করে এনকাউন্টার ঘটনার তদন্ত হোক। সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলারই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। তার আগেই বুধবার বাদী-বিবাদী পক্ষকে প্রাক্তন বিচারপতির নাম জানাতে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি শারদ অরবিন্দ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আরও পরিষ্কার করে জানিয়েছে যে, প্রস্তাব মেনে প্রাক্তন বিচারককে নিয়োগ করা হলে তিনি নয়াদিল্লিতে বসেই কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: ‘বিচার মানে প্রতিশোধ নয়’, হায়দরাবাদকাণ্ডে সরব দেশের প্রধান বিচারপতি
ইতিমধ্যেই সিআইডি তেলেঙ্গানায় পশু চিকিৎসক খুনে চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে তদন্ত শুরু করেছে। তবে, আদালতের নির্দেশ মেনেই তদন্ত হবে বলে এদিন জানান রাজ্যের তরফে দুই আইনজীবী মুকুল রোহতগি ও কৃষ্ণকুমার সিং।
গত ২৭ নভেম্বর তেলেঙ্গানার সামসাবাদ টোল প্লাজার কাছে এক তরুণী ধর্ষণের পর খুন কররার অভিযোগ ওঠে চারজনের বিরুদ্ধে। ২৯ নভেম্বর সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান শুনে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছিল। এই ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সমালোচনার মুখে কর্তৃব্যে গাফিলতির জন্য তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে তেলেঙ্গানা পুলিশ। ঘটনার তদন্ত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হবে বলে ঘোষণা করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। তবুও ক্ষোভ প্রশমন করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘জেলে রেখে কুকুরের খাবার খেতে দিতে পারত, মারল কেন?’
এরই মধ্যে তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে ননিয়ে যাওয়া হয় চার অভিযুক্তকে। সেখানেই তারা পিস্তল ছিনতাই করে পুলিশকেই আক্রণ করে বলে দাবি করা হয় আইনরক্ষকদের তরফে। আত্মসমর্পণের কথা বলা হলেও অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করেছিল। তাই আত্মরক্ষার্থেই এনকাউন্টার বলে জানায় তেলেঙ্গানা পুলিশ। তাদের দাবি, জনতার অসন্তোষ থেকে অভিযুক্তদের রক্ষা করতেই শুক্রবার কাকভোরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানায় দেশের বড় অংশের মানুষ।
তবে, শাসক বিরোধী বহু রাজনীতিবিদ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজন এই এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেন। তাদের মতে, দেশে আইনের শাসন বলবৎ থাকা খুবই জরুরি। চরম শাস্তি বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হলে তা গ্রহণযোগ্য হত। প্রদান বিচারপতি বোবদেও জানিয়েছিলেন, বিচার কখনও তাৎক্ষণিক হতে পারে না। বিচার তার চরিত্র হারিয়ে ফেলে যদি তা প্রতিহিংসামূলক হয়।
Read the full story in English