হায়দরাবাদ এনকাউন্টার: বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

হায়দরাবাদে এনকাউন্টারের ঘটনা নয়া মোড় নিল। তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের পর পুড়িয়ে মারায় অভিযুক্ত ৪ জনের পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভিএস শিরপুরকারের নেতৃত্বে কমিশন গড়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এ ঘটনায় তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক’’। উল্লেখ্য, হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন দুই আইনজীবী জি এস মনি ও প্রদীপ কিমার যাদব।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের গলায় পাক সুর, মুসলিমদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, বরাভয় অমিত শাহের

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের এহেন পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে তেলেঙ্গানা রাজ্যের হয়ে সওয়ালকারী আইনজীবী মুকুল রোহতগী বলেন, টোল প্লাজায় সিসিটিভি দেখে ৪ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার বিষয়ে আর কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন পুলিশের পিস্তল কেড়ে নিয়ে গুলি চালায়। সেই প্রেক্ষিতেই গুলি চালায় পুলিশ। রোহতগী আরও জানান, পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিরোধিতা করছি না। শুধু এটাই বলছি যে, তদন্ত শুরু হয়েছে’’। এই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। একটি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হোক। সেই কমিটিই তদন্তের মূল্যায়ন করবে’’।

এ প্রসঙ্গে রোহতগী বলেন, ‘‘এটা আইনের পরিপন্থী। একসঙ্গে ২টো তদন্ত চলতে পারে না’’। এর পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এটা বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন। কেন তদন্তে আপত্তি করছেন? আমরা বলছি না আপনি ভুল। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা কোনওকিছুই জানি না’’।

Read the full story in English