Advertisment

Hyderabad Horror: বউয়ের দেহ টুকরো করে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করল স্বামী, প্রাক্তন সেনাকর্মীর কাণ্ডে আত্মা কেঁপে উঠবে

Hyderabad Horror: গত ১৬ জানুয়ারি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল মাধবীর। তার পর তিনি নাকি বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পুলিশ আধিকারিক নাগারাজু সংবাদসংস্থা এএনআই-কে একথা জানান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Hyderabad Horror: স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন সেনা জওয়ান স্বামী

Hyderabad Horror: স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন সেনা জওয়ান স্বামী

Ex-Army man killed wife, chopped body and boiled body parts in pressure cooker: হায়দরাবাদে এক মহিলার নৃশংস হত্যাকাণ্ড! ৩৫ বছরের ওই মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করেছেন তাঁর স্বামী। কীভাবে খুন করলেন স্বামী, জানলে আত্মা কেঁপে যাবে আপনার। হায়দরাবাদের এই ঘটনায় মহিলার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisment

ওই সেনা জওয়ানের নাম গুরুমূর্তি। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, নিজের স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করেন তিনি। তার পর সেই দেহাংশ জলাশয়ে ফেলে দেন। মিরপেট থানাক ভেঙ্কটেশ্বরা কলোনির এই ঘটনায়। নিহত মহিলা পুত্তাভেঙ্কটা মাধবীর মা সুবাম্মা গত ১৮ জানুয়ারি থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন। গত ১৬ জানুয়ারি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল মাধবীর। তার পর তিনি নাকি বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পুলিশ আধিকারিক নাগারাজু সংবাদসংস্থা এএনআই-কে একথা জানান।

তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহ করে মহিলার স্বামীকে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান বর্তমানে একটি নিরাপত্তা সংস্থায় রক্ষীর কাজ করতেন। তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করেন তিনি। বউয়ের সঙ্গে ঝগড়াতেই মাথা গরম করে তাঁকে খুন করে ফেলার কথা স্বীকার করে নেন স্বামী।

বউকে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য বাথরুমে মহিলার দেহ টুকরো টুকরো করেন চপার দিয়ে। এর পর দেহাংশ প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করেন। সেদ্ধ করে মাংস থেকে হাড় আলাদা করেন। তার পর আবার সেদ্ধ করেন। মাংস প্রায় গলে আসে। প্রায় তিনদিন ধরে একটু একটু দেহাংশগুলো সেদ্ধ করেন ওই ব্যক্তি। এর পর একদিন গলা দেহাংশ একটি পলিথিনের ব্যাগে ভরে বাড়ির কাছে একটি জলাশয়ে ফেলে দেন। 

Advertisment

আরও পড়ুন চা-বিক্রেতাই আগুনের গুজব ছড়ায় ট্রেনে, জলগাঁওয়ে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় বিস্ফোরক তথ্য

বুধবার পর্যন্ত পুলিশ নিহতের দেহ খুঁজে পাচ্ছিল না। এর পর গুরুমূর্তির কথায় জলাশয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বামী খুনের কথা স্বীকার করলেও মহিলার দেহাংশ না খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত তদন্ত চলবে। 

পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ বছর আগে বিয়ে মাধবী এবং গুরুমূর্তির। গত ৫ বছর ধরে ওই কলোনিতে থাকতেন তাঁরা। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। খুনের দিন তাঁদের সন্তানরা পিসির বাড়িতে গিয়েছিল। তাই মাকে খুনের কথা তারা জানতে পারেনি। পুলিশের দাবি, মাধবীর পরিজনদের নিখোঁজ হওয়ার গল্প বলে গুরুমূর্তিই। যেহেতু এখনও মহিলার দেহ পাওয়া যায়নি, তাই এখনও নিখোঁজ মামলা হিসাবেই তদন্ত চলছে।

Murder Hyderabad Telangana Hyderabad Murder
Advertisment