করোনা প্রতিরোধে 'গেম চেঞ্জার' হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু, সেই আর্জি নিয়ে এখনও সুস্পষ্ট উত্তর দেয়নি নয়া দিল্লি। ট্রাম্পের আর্জি এখনও বিবেচনাধীন। আর এতেই বিস্মিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসে করোনা টাস্কফোর্সের ব্রিফিংয়ের সময় এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, 'নয়া দিল্লি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ না পাঠালে আমি কিছুটা অবাকই হব।' আর্জি না মানা হলে প্রতিশোধেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদীর বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভারত বহুদিন ধরে আমেরিকার থেকে বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করছে বলে মনে করিয়ে দেন ট্রাম্প। তারপরই তিনি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত ম্যালেরিয়ার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ পাঠানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি মনে করি না যে এটা তাঁর (প্রধানমন্ত্রী মোদীর) সিদ্ধান্ত। এই ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানি। তবে, রবিবারই আমার সঙ্গে মোদীর খুব ভাল কথা হয়েছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি করা হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।'
আরও পড়ুন- Live: ভারতে করোনা আক্রান্ত ৪,২৮১, মৃত ১১১
কিন্তু, মার্কিন প্রেসিডেন্টের আর্জির পরও ৩৬ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে। ট্রাম্পের আর্জি নিয়ে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত হয়নি। প্রেসিডেন্ট কথায়, 'হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না এলে আমি অবাক হব। কেন পাঠানো হল না আমাকে তা জানাতে হবে। মোদীর সঙ্গে কথা বলার সময় ওই ওষুধের প্রশংসা করেছি আমি। এরপরও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না পাঠালে আমার কিছু বলার নেই। আমেরিকা এর প্রতিশোধ নেবে।'
উল্লেখ্য, ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করে আসছে। বিশ্বের সবথেকে বেশি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যেও রয়েছে ভারত। করোনা মোকাবিলায় সেই প্রতিষেধক ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ মার্চ সেই ওষুধের রফতানির উপর বিধিনিষেধ চাপিয়েছিল ভারত। বিশেষ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। কিন্তু, শনিবার নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সেই বিধিনিষেধ কোনওভাবে প্রত্যাহার করা যাবে না। এখন দেখার যে, বন্ধু ট্রাম্পের আর্জি মেনে সেই বিধিনিষেধ মোদী সরকার শিথিল করেন কিনা।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর আকার নিয়েছে আমেরিকায়। প্রতিদিনই সংক্রমিত ও মৃত্যুর খবর বাড়ছে সে দেশে। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। সব চেষ্টা করেও করে বিপর্যয়ে লাগাম টানতে পারছে না আমেরিকা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন