/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/04/pm-modi-3.jpg)
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ শুরু হয়েছে ভারতে। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছেন অনেকে। কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভ্যাকসিন ঘাটতি দেখা দিয়েছে একাধিক দেশে। কোভিড-১৯ ভাইরাসকে আটকাতে ভ্যাকসিনেশনেই গুরুত্ব দিচ্ছে দেশ। ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধে সকলেই টিকা পাবেন, এমনটাই জানান হয়। কিন্তু টিকা নেই একাধিক রাজ্যে!
মঙ্গলবার এমন প্রশ্নই তুললেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ। তিনি বলেন, "ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা একটি বড় প্রশ্ন এখন। কেন্দ্র কিংবা ভ্যাকসিন নির্মাতারা চাইলে আমরাই রাজ্য থেকে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে পারি। কিন্তু আমরা যদি ভ্যাকসিনই না পাই, তাহলে ১ মে থেকে কীভাবে টিকাকরণ শুরু করব? শুধু আমাদের রাজ্যেই নয়, ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি।"
আরও পড়ুন, বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে ভারত! তথ্য প্রকাশে চাঞ্চল্য
সম্প্রতি উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসন যে তথ্য দিয়েছে তা অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে ১৮-৪৪ বছর বয়সী ৫ কোটিরও বেশি লোক রয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী দু'বার করে ডোজ দিতে কমপক্ষে ১২ কোটি ডোজ প্রয়োজন। যদিও মন্ত্রিপরিষদ এ বিষয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপন করবে বলেই খবর।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, "অভাবের কারণে প্রয়োজনীয় স্টক সংগ্রহ করতে না পারলে ভারত সরকারকে হস্তক্ষেপ ও সহায়তা করার জন্য আবেদন করছি আমরা। বেসরকারী খাতে ভ্যাকসিনের দাম নির্ধারণের জন্য কেন্দ্রকেও অনুরোধ করছি। সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে ২০ মে পর্যন্ত তাঁদের স্টক কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দেওয়া আছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অন্য কোথায় ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে না।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে ভ্যাকসিন অপচয় হচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠে। যদিও মন্ত্রীর কথায় ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ২৪ হাজার টিকাকরণ হয়েছে সে রাজ্যে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন