করোনা মোকাবিলার জন্য পিএম কেয়ারস তহবিল তৈরি করেছিল মোদী সরকার। রাতারাতি ওই তহবিলে কোটি কোটি টাকা অনুদান জমা পড়ে। বেসরকারি সংস্থা ছাড়াও ওই তহবিলে টাকা দিয়েছিল আইআইটি, আইআইএম, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকী নবোদয় স্কুলগুলিও। এগুলো থেকে পিএম কেয়ারস-এ ২১.৮১ কোটি টাকা জমা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরাই মূলত নিজেদের বেতন থেকেই ওই টাকা দিয়েছিলেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে করা আরটিআই-য়ের ভিত্তিতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এই তহবিলের পরিচালন ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নিয়ন্ত্রাধীন। কেন্দ্র আগে জানিয়েছিল, পেএম কেয়ারস তহবিলে কারা অনুদান দিয়েছে তা জানানো যাবে না। কারণ এই তহবিল 'সরকারি কর্তৃত্বাধীন বা পাবলিক অথরিটি নয়। আরটিআই আইনের আওতাধীন নয়।'
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, পেএম কেয়ারস তহবিল গঠনের পরপরই (৩১ মার্চ, ২০২০) ওই তহবিলে ৩,০৭৬.৬২ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। ওই অর্থ 'স্বেচ্ছা অনুদান' বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
মহারত্ন থেকে নবরত্ন, ৩৮ সরকার পোষিত সংস্থা তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা তবহিল থেকে পিএম কেয়ারে ২,১০৫ কোটি টাকার বেশি জমা করেছে। চলতি বছর ২৮ মার্চ পিএম কেয়ার তহবিল গঠন করা হয়। তখন থেকে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত এই পরিমান সরকার পোষিত ৩৮ সংস্থার মাধ্যমে অর্থ জমা পড়েছে। কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ফান্ড ব্যবহার করে এই অর্থ দেওয়া হয়। শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা মূলত নিজেদের বেতন থেকেই ওই টাকা দিয়েছিলেন। টাকা দিয়েছিলেন পেনশনভোগী, পড়ুয়ারাও। গত ২৭ আগস্ট এি প্রতিবেদন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত হয়।
দেশের ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের আরটিআই–এর জবাব দিয়েছে। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
* দেশজুড়ে নবোদয় বিদ্যালয় সমিতি ৬০০টি নবোদয় স্কুল চালায়। তারা পিএম কেয়ারসে দিয়েছে ৭.৪৮ কোটি টাকা।
* ১১ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে ৩.৩৯ কোটি টাকা। এগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি টাকা দিয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (১.৩৩ কোটি )।
* ৫.৪৭ কোটি টাকা দিয়েছে ২০টি আইআইটি। সেগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি টাকা দিয়েছে খড়্গপুর আইআইটি। ১ কোটি টাকা দিয়েছে তারা। এর মধ্যে ৮৯,১৮৪ টাকা দিয়েছেন পেনশনভোগীরা।
* দেশের সবকটি আইআইএম দিয়েছে ৬৬ লক্ষ টাকা। কোঝিকোড় আইআইএম দিয়েছে সবথেকে বেশি টাকা (৩৩.৫৩ লক্ষ)।
* দেশের ৯ এনআইটি দিয়েছে ১.০১ কোটি টাকা।
* আইআইএসসি বেঙ্গালুরু দিয়েছে ২৫.৬৪ লক্ষ টাকা।
* ইউজিসি দিয়েছে ৭.৪১ লক্ষ টাকা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন