South Korea’s Impeached President Yoon Suk Yeol Arrest: দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওল গ্রেফতার। বুধবার সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন তিনি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে আটক করা হয়েছে।
এই মাসের শুরুর দিকে তাঁকে একবার গ্রেফতারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর আগে ইউন গত ডিসেম্বের দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করার জন্য বিদ্রোহের সম্মুখীন হন।
ইউনের গ্রেফতারি কোরিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতার আরও বাড়াল। তাঁকে বরখাস্ত করার পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় টালমাটাল পরিস্থিতি। নানা বিরোধের মধ্যেও ইউন তাঁর কর্তৃত্ব কায়েম করার জন্য এবং সামরিক আইন জারি করে দেশে বাকস্বাধীনতাকে দমন করার চেষ্টা করার অভিযোগে তদন্তের অধীনে রয়েছেন। ইউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোরিয়ায় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
ইউনের গ্রেফতারির মধ্যে নাটকের যবনিকা পতন
এক হাজারেরও বেশি দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারী এবং পুলিশ অফিসার ইউনকে গ্রেফতার করতে নাটকীয় ভাবে বুধবার ভোরে দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া রাষ্ট্রপতির বাসভবনে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আধিকারিকরা প্রতিরোধের মুখোমুখি হওয়ার জন্য বাসভবনের বাইরে জড়ো হন, কারণ তাঁদের প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য ইউনের বাসভবনের চারপাশে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন সীমান্তে এবার আরও কড়া নজরদারি....! সেনা দিবসের কুচকাওয়াজে বীরত্ব প্রদর্শন! রোবোটিক কুকুরের ঝলক তাকিয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব
যাইহোক, ঘন্টার পর ঘন্টা সতর্কতা অবলম্বনের পরে, পুলিশ সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আবাসিক কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। এরপর শতাধিক অফিসার ইউনের বাসভবনের মাঠে ঢুকে পড়েন, গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করে এবং ইউনকে আর কোনও ঘটনা ছাড়াই আটক করে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই অভিযানে একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইউনকে গ্রেফতারের আগের প্রচেষ্টা
প্রেসিডেন্ট ইউনকে হেফাজতে নেওয়ার এটাই প্রথম প্রচেষ্টা ছিল না। ৩ জানুয়ারি, পুলিশ আধিকারিকরা গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু রাষ্ট্রপতি নিরাপত্তা পরিষেবা (পিএসএস) ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গ্রেফতারিতে বাধা দেয়।