দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরায় আগেই টুইট করে নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার মোদীকে সরাসরি চিঠি লিখে অভিনন্দন জানালেন ইমরান। তবে মোদীকে লেখা ইমারনের চিঠি শুধুই অভিনন্দন জানিয়ে নয়। দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় মোদীকে যেমন অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান, তেমনই দু’দেশের সম্পর্কে গতি আনার দিকেও জোর দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। আলোচনার দরজা খুলে রেখে জম্মু-কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন ইস্যু সমাধানে শান্তিপূর্ণ ভাবে যৌথভাবে দু’দেশ যাতে কাজ করে, সেই আবেদনই মোদীর কাছে রেখেছেন ইমরান। চিঠিতে মোদীকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে যোগসূত্র তৈরির যে বার্তা ইমরান দিলেন, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্যদিকে, পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও খানিকটা একইরকম বার্তা দিয়ে দেশের নয়া বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর নরেন্দ্র মোদীকে ফোনও করেছিলেন ইমরান খান। ফোনে কথোপকথনের সময়ও শান্তি স্থাপনে দু’দেশের মধ্যে সেতু তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভোটে জেতায় মোদীকে অভিনন্দন-ফোন ইমরানের
এদিকে, চলতি মাসের ১৩ ও ১৪ তারিখ বিসকেকে বসছে সাংহাই কো-অপারেশনের সামিট। ওই সামিটে যাওয়ার কথা দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীরই। তবে বিসকেকে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সামিটের ফাঁকে মোদী-ইমরানের আলাদা করে কথা বলার সম্ভাবনাকে একেবারে নাকচ করছে না আরেকটি সূত্র।
উল্লেখ্য, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত-পাক সম্পর্কে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়। এই জট আরও বাড়ে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের পর। এই দুই ঘটনায় ভারত-পাক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকে। সন্ত্রাস বন্ধ ছাড়া আলোচনা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় নয়া দিল্লি।
Read the full story in English