ইমরান খান গ্রেফতার হতেই পাকিস্তানজুড়ে শুরু হয়ে তীব্র অশান্তি। ইমরান সমর্থকরা পাকিস্তান সেনার সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডির সেনা ছাউনিতে হামলা চালান। আবার লাহোরে কর্পস কমান্ডারের বাসভবনেও তাঁরা ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি সামলাতে মোবাইল ডেটা পরিষেবা এবং ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে পাকিস্তানজুড়ে। যার তীব্র নিন্দা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা টেলিকম কর্তৃপক্ষকে মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করেছে।
লাহোরে ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে কয়েকশো ইমরান সমর্থককে মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রম ইমরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারমধ্যেই পাকিস্তান হাইকোর্ট আবার জানিয়ে দিয়েছে, ইমরানের গ্রেফতারিতে বেআইনি কিছু নেই। এই গ্রেফতারি আইন মেনেই হয়েছে। লাহোর-সহ গোটা পঞ্জাবেই আগামী দু'দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যেই লাহোর কর্পোরেশনের কমান্ডারের বাড়ি থেকে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ময়ূর চুরি করেছেন এক ব্যক্তি। তিনি আবার দাবি করেছেন, লাহোরের মেয়র এতদিন জনগণের পয়সা চুরি করেছেন। এবার জনগণ তা বুঝে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন- ইমরান খান গ্রেফতার, পাকড়াও পাক রেঞ্জার্সদের হাতে
ব্রিটিশ কাউন্সিল আবার পাকিস্তানজুড়ে হতে চলা ইংরেজি শিক্ষার পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেছে। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ অভিযোগ করেছে দলের সিন্ধ প্রদেশের প্রধান আলি হায়দার জাইদিকে করাচিতে অপহরণ করা হয়েছে। পাকিস্তান পুলিশ আবার জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পাঁচ অফিসার আহত হয়েছেন। আর, ৪৩ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইসলামাবাদে। পাক পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন কাদরিও ইমরানের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই গ্রেফতারি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।