/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/02/princess-reema-bint-bandar-bin-sultan.jpg)
ইতিহাসে এই প্রথম। শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলেন সে দেশের যুবরানী রীমা বিন্ত বান্দার বিন সুলতান। দু'দেশের সম্পর্কের সম্পর্কের শীতলতার শুরু গতবছর ডিসেম্বর থেকে। তার মাঝে এমন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগকে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।
২০১৭ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন যুবরানী রীমারই ভাই খালিদ বিন সলমন। রীমার নিয়োগের পাশাপাশি একই দিনে খালিদ বিন সলমন নিযুক্ত হলেন দেশের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন সৌদি আরবের রাজা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় খাসোগির হত্যাকে ঘিরেই দু'দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। কংগ্রেস সদস্যরা যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনকে হত্যার জন্য দায়ী করলেও মার্কিন অস্ত্রের বিশ্বস্ত এবং সুনিশ্চিত ক্রেতা হওয়ার দরুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু বরাবরই সৌদিকে সমর্থন করেছেন।
আরও পড়ুন, আকাশে ইতিহাস; দেশের প্রথম মহিলা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়র হলেন হিনা জয়সওয়াল
খাসোগি ভার্জিনিয়ায় থাকতেন। মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত লিখতেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সৌদির সমাজ সংস্কারমূলক কাজ করেছেন রীমা বিন্ত।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন রাষ্ট্রদূতের পদে যুবরানীর অভিষেক দু'দেশের সম্পর্কের শীতলতা কাটাতে সাহায্য করবে। প্রসঙ্গত, রীমার বাবা যুবরাজ বান্দার বিন সুলতান নিজেও মার্কিন মুলুকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ১৯৮৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলেছেন । সে সময় বুশ পরিবারের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল বান্দার বিন সুলতানের। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিয়াম স্টাডিজে স্নাতক হন যুবরানী রীমা।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us