যে মামলায় প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদকে জামিন দেওয়া হয়েছে, সেই একই ধরনের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএও দায়ের হয়েছে। জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের জামিন সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্টে এমনটাই জামিনের কারণ হিসেবে জানিয়েছে দিল্লির আদালত। উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গা মামলায় আদালত উমর খালিদকে জামিন দিয়েছে। পাশাপাশি, জামিন দেওয়া হয়েছে 'ইউনাইটেড এগেনস্ট হেট'-এর প্রতিষ্ঠাতা খালিদ সইফিকে।
এক কনস্টেবলের বয়ানের ভিত্তিতে খালিদের বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। ওই কনস্টেবল দিল্লির দাঙ্গার সময় ডিউটিতে ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চান্দবাগ এলাকায় মোতায়েন ছিলেন। ওই কনস্টেবল জানিয়েছেন, তিনি দাঙ্গার সময় পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। আশ্রয় নিয়েছিলেন এক পার্কি লটে। সেই সময় দাঙ্গাকারীরা পার্কিং লটের শাটার ভেঙে দেয়। সেখানে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি, পার্কিং লটের মধ্যে থাকা লোকজনকে মারধরও করে। শনিবারই আদালত খালিদ ও সইফিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, ইউএপিএ মামলায় জামিন না-পাওয়ায় আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে দু'জনকেই।
আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন? দিল্লি যাওয়ার আগেই উত্তর দিয়ে গেলেন মমতা
দিল্লি দাঙ্গা মামলায় অভিযোগ উঠেছে, প্রাক্তন কাউন্সিলর তাহির হোসেন এর সঙ্গে জড়িত। তাহির হোসেন আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর। অভিযোগ উঠেছে, তাহির হোসেনের বাড়ি থেকেই পাথর ছুড়েছে দাঙ্গাকারীরা। মামলার উমর খালিদ ও সইফির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দাঙ্গার পিছনে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে কাজ করেছেন। অতিরিক্ত সেশন বিচারক পুলস্ত্য প্রামচালা জানিয়েছেন, সইফি ও উমরের বিরুদ্ধে দায়ের ইউএপিএ অভিযোগের সঙ্গে এই মামলার অভিযোগের কোনও পার্থক্য নেই।
যেন তদন্তের চেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। আর, একথা মাথায় রেখেই আদালত জানিয়েছে, 'ছাতার আকারের ষড়যন্ত্র হল দিল্লি দাঙ্গা মামলার বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। সেটা তো ইতিমধ্যেই বিবেচনাধীন। তাই এই মামলায় দুই অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।' এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তারিক মইন রিজভি, জাগর খান ও মহম্মদ ইলিয়াসকেও মুক্তি দিয়েছে আদালত।
Read full story in English