সারা দেশেই কমেছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও মৃত্যু হার নিয়ে উদ্বেগ জারী রয়েছে। তার মাঝেই উঠে এল এক নতুন তথ্য। মুম্বইতে সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে প্রায় ৯৫ শতাংশের ক্ষেত্রে ওমিক্রন ভাইরাস পাওয়া গেছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ওমিক্রন তাণ্ডব দেখাতে শুরু করে সারা বিশ্বেই।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে শুধু ওমিক্রনের কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষের বেশি মানুষ। বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) এর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে মোট ১৯০টি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল তাতে দেখা গেছে, ১৮০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। যা মোট সংখ্যার প্রায় ৯৪ শতাংশ। তিনটি ডেল্টা একটি ডেল্টা প্লাস, এবং ছয়টি করোনা ভাইরাসের অন্যান্য প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে ১৯০ জনের সোয়াব জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল তার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন সেই ২৩ জনের মধ্যে ২১ জন আবার ওমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত ছিলেন। অপর একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২৮০ টি নমুনার মধ্যে ২৪৮টিতে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে।
জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের নবম রাউন্ডে, যে ২৮২টি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল তার মধ্যে ১৯০টি মুম্বইয়ের এবং বাকীগুলি মহারাষ্ট্রের অন্যান্য জায়গার। বিএমসি’র তথ্য অনুসারে এদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন ১৮ বছরের নীচে এবং তাদের মধ্যে ১১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন।
আরো পড়ুন: হবু মায়েদের ক্ষেত্রে টিকা কমাতে পারে সন্তানের করোনা সংক্রান্ত জটিলতা, জানাল গবেষণা
অন্যদিকে ৬১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছিল ৭৪ জন রোগী। ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল ৪১ জন। ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন। ৮১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ২২ জন। এবং শূন্য থেকে ১৮ বছরের মধ্যে রোগী ছিল ১৭ জন।
বিএমসি’র তরফে আরও জানান হয়েছে ১৯০ জনের মধ্যে ১০৬ জনকে ভর্তি করতে হয়েছিল হাসপাতালে। তার মধ্যে ৫০ জন করোনার দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। এবং ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ২১ জন ষাটোর্ধ্ব । এবং ১৫ জন করোনার একটিও ডোজ নেননি। এই তথ্য সামনে এনে বিএমসি’র তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেলেও যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলার।
Read story in English