এনপিআর-এ অভিভাবকদের জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পরবর্তী সময়ে তথ্য তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। এনপিআর প্রক্রিয়াকেও তা সুদৃঢ় করবে। আগেও (২০১০ এনপিআর) এই ধরনের প্রশ্ন এনপিআর প্রশ্নমালায় ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সংসদের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এমনটাই জানানো হয়েছে। এনপিআর নিয়ে সরকার সহমত তৈরিতে ব্যর্থ- যার ফলে গোটা দেশে এনপিআর পক্রিয়া ব্যহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে স্থায়ী কমিটি।
কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মার নেতৃত্বাধীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জানতে চান যে, কেন ইউপিএ আমলের এনপিআর পদ্ধতিতে রদবদল করে নতুন আটটি ধারা যোগ করা হল? যেখানে দেশের অনেকগুলি রাজ্য সরকার (এর মধ্যে রয়েছে এনডিএ পরিচালিত বিহার সরকারও) স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা এই নতুন এনপিআর পদ্ধতি অনুসরণ করবে না, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে কেন এনপিআর পদ্ধতি শুরু করতে চাইছে? কেন সহমত গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে না? জাবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, পরবর্তী সময়ে তথ্য তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় এনপিআর-এ অভিভাবকদের জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান সংক্রান্ত বিষয়গুলো।
আরও পড়ুন: ‘এনপিআরে কোনও নথি লাগবে না’, বড় ঘোষণা মোদী সরকারের
সহমত না হলে ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা এনপিআর পক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা। সংসদে এই মর্মেই রিপোর্ট জমা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটি। এনপিআর নিয়ে মানুষের মনে বিভ্রান্তি রয়েছে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়।
পাশাপাশি কমিটি জানতে চায় যে, এনপিআর-এ বায়োমেট্রিক পরিচয় পত্রের তথ্য কতটা জরুরি। মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২১ জনগণনায় বায়োমেট্রিক পরিচয় তথ্য জমার কোনও প্রস্তাব নেই। এনপিআর আপডেট করার জন্য আধার ডাটাবেস ব্যবহারের সম্ভাবনা সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেছিল কমিটি। মন্ত্রক জানায় আধার ব্যক্তিগত তথ্য, এবং এনপিআর হল পারিবারিক তথ্য। কিন্তু, আধারের তথ্য ফাঁসের কোনও ভয় নেই।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন