মহারাষ্ট্র গত তিন মাসে প্রায় ১.৮০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের সুযোগকে হাতছাড়া করেছে। যার মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন টাটা এয়ার বাস প্রকল্প। গুজরাটের ভাদোদরায় চালু হতে চলেছে টাটা এয়ার বাস প্রকল্প। যা নিঃসন্দেহেই গুজরাট নির্বাচনের আগে রাজ্যের বড় প্রাপ্তি।
মহারাষ্ট্রের শিল্পমন্ত্রী উদয় সামন্ত এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এই প্রকল্পটিকে নাগপুরের মিহানে নিয়ে আসার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। প্রকল্পটি রাজ্যে প্রায় ৬ হাজার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে টাটা এয়ার বাস প্রকল্প গুজরাটে ভাদোদরায় চালু হতে চলেছে।
এই প্রকল্পটির জন্য ২২,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সামনেই গুজরাত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে নিঃসন্দেহে বড় শিল্পায়নের মুখ দেখল সে রাজ্য। আর টাটা এয়ার বাস প্রকল্প গুজরাটে যেতেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন আদিত্য ঠাকরে। তিনি বলেন, 'এই সরকারের প্রতি শিল্পপতিদের কোনও আস্থা নেই'। ফলে মহারাষ্ট্রে শিল্প আসা নিয়ে রীতিমত শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আদিত্য ঠাকরে।
মহারাষ্ট্র গত তিন মাসে অন্যান্য রাজ্যে করা প্রায় ১.৮০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ সহ চারটি বড় প্রকল্প হারিয়েছে। এই প্রকল্পগুলি রাজ্য থেকে চলে যাওয়ায় রাজ্য সরকারকেই দুষেছেন ঠাকরে শিবির। রাজ্য এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ১ লক্ষেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ হারিয়েছে।
আরও পড়ুন : < গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৫ >
পাশাপাশি বেদান্ত-ফক্সকন, বাল্ক ড্রাগ পার্ক, মেডিকেল ডিভাইস পার্স এবং এখন টাটা এয়ারবাস সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প মহারাষ্ট্রের পরিবর্তে গুজরাটে বিনিয়োগ করেছে। বিদর্ভের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নাগপুরের মিহান, যা বিমান ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠছে, গুজরাটের চেয়ে ভাল জায়গা হতে পারত, টাটা-এয়ারবাস প্রকল্প দেশে বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসবে।
নাগপুর মধ্য ভারতের এই প্রকল্পটি চালু হলে পুরো এলাকা উপকৃত হত। শিল্প সমিতি দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছে, 'মিহান একটি বড় শিল্প বিনিয়োগের সুযোগ সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ হাতছাড়া করেছে'।