বুধবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ইউক্রেনের চারটি শহরে রাশিয়ার অবৈধ দখলদারির নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়। মোট ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় এবং মাত্র পাঁচটি এর বিপক্ষে ভোট দেয়। তবে এবারও ভোটদানে বিরত থাকে ভারত। ভারতসহ ৩৫ টি দেশ ভোটদানে অংশগ্রহন থেকে নিজেদের বিরত রাখে।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকে রাষ্ট্র সঙ্ঘের সাধারণ সভা ও নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে একাধিকবার ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতের নিরপেক্ষ বিদেশনীতির কারণেই ভারত এই অবস্থান জারি রেখেছিল। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে মোট ১৯৩টি সদস্য দেশ রয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ইউক্রেনের পক্ষে একটি বড় সমর্থন হিসাবে বিবেচনা করছে। ভারত, চিন, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবাসহ ৩৫টি দেশ এই ভোটদানে বিরত থাকে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব এই প্রথম নয়। এর আগে ২রা মার্চ, সাধারণ পরিষদ ১৪১-৫ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করে। সেই ভোটেও ভারতসহ ৩৫টি দেশ অনুপস্থিত ছিল। এর পরে, ২৪শে মার্চ, ১৪০-৮ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল, যখন ৩৮টি দেশ ভোটদান থেকে নিজেদের দূরে রাখে। এর পরে, ৭ই এপ্রিল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ৯৩-২৪ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে একটি প্রস্তাব পাস করে এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানায়, সেই প্রস্তাবে ৫৮টি দেশ এই অনুপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: < দলে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষনের বার্তা দিয়ে, মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্রকে কটাক্ষ ‘গান্ধী ঘনিষ্ঠ’ খাড়গের >
প্রস্তাবে বলা হয়েছে রাশিয়াকে নিঃশর্তভাবে ইউক্রেন থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহার করে নিতে হবে। কোন ভাবেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করা যাবে না। পাস হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে ইউক্রেনের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে এবং পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় বিরোধ মিমাংসা করতে হবে। সেই সমাধান এমন হওয়া উচিত যাতে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এদিকে ভোটাভুটির মাঝে বুধবারও তৃতীয় দিনের জন্য ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে বিমান হামলা জারি রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভরা বাজারে রুশ হামলায় সাতজন সাধারণ মানুষ নিহত এবং কমপক্ষে আটজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। এছাড়াও ইউক্রেনের একাধিক শহরে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।