বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ভারত-চিন জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখের অবশিষ্ট সমস্যাগুলো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সমাধানের দিকে নজর রেখে ভারত ও চিন ২০ ডিসেম্বর উচ্চস্তরের সামরিক বৈঠকে করেছে। বাকি সমস্যাগুলোও দ্রুত সমাধানের জন্য দুই দেশ কাজ করতে বদ্ধপরিকর। দুই দেশের নেতাদের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খোলাখুলি এবং গভীর আলোচনা হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, 'ভারত-চিন কর্পস কমান্ডারস্তরের ১৭তম রাউন্ডের বৈঠকটি ২০ ডিসেম্বর চিনের দিকে চুশুল-মোল্ডো সীমান্তে হয়েছে।' বিবৃতিতে বাগচি জানান, উভয় পক্ষ পশ্চিমের সেক্টরে এলএসি বরাবর প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলোর সমাধানের ব্যাপারে খোলাখুলি ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে মত বিনিময় করেছে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী সমস্যাগুলো মেটানোর জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হবে। তার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার যাবতীয় চেষ্টা চলবে। এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন- কোভিডবিধি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা ভাইরাল, ‘জাল’ জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব লাদাখ অঞ্চলকে বিবৃতিতে পশ্চিম সেক্টর হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মধ্যবর্তী সময়ে ভারত এবং চিন উভয়পক্ষই পশ্চিমা সেক্টরের স্থলভাগে নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। দুই পক্ষই এই ব্যাপারে পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলবে। পাশাপাশি, কোনওরকম সমস্যা হলে যাতে সামরিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা মেটানো সম্ভব হয়, সেদিকে নজর দেবে। আর, এই কথা মাথায় রেখেই দুই দেশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সমস্যাগুলো মিটিয়ে নিতে চায়। বৈঠকে সেই লক্ষ্যে কথা হয়েছে বলেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে।
চলতি মাসেই চিনের সেনা অরুণাচল সীমান্তে ভারতীয় সেনার ওপর হামলা চালিয়েছে। তাতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা আহত হয়েছেন। চিনের পক্ষেও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই খবর সামনে আসার পর দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়। পরে জানা যায়, উভয়পক্ষই সীমান্তে সেনা ও ভারী অস্ত্র মজুত করা শুরু করেছে। পরস্পরের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে। তার মধ্যে দূরপাল্লার পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রও পরীক্ষা করে ভারত। এরপরই দুই দেশের সেনাকর্তাদের শান্তিবেঠকের কথা জানা গেল।
Read full story in English