New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/Covid-variant.jpg)
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের BF.7 ভেরিয়েন্টের জেরে কোভিড-19 সংক্রমণ আচমকা বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে গত ছয় মাসে ভারতের চারটি রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যাও বেড়েছে। সেখানে সম্ভাব্য নতুন তরঙ্গ নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে। পাশাপাশি বর্তমানে XBB ভেরিয়েন্ট ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তর ৬৫.৬% এই ভেরিয়েন্টের জন্যই সংক্রমিত। কিন্তু, সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্যত্র।
আগের কোভিড তরঙ্গগুলোর মতই, ইন্টারনেটে বর্তমান ভেরিয়েন্টের সম্পর্কেও ক্রমবর্ধমান ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। যাতে আতঙ্ক এবং ভয় বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রক বৃহস্পতিবার কোভিড-19 এর এক্সবিবি ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে একটি ভাইরাল হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাকে পরীক্ষা করে ফেক বলে জানাল। ফেসবুক, টুইটার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে ছড়িয়ে পড়া বার্তাটি ভুয়ো।
ভাইরাল বার্তাটি বলেছে যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে একটি মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ COVID-Omicron XBB করোনভাইরাসের নতুন রূপটি বেশ আলাদা। এটা আগের চেয়েও মারাত্মক। আর, সঠিকভাবে সনাক্ত করাও সহজ নয়। পাশাপাশি, ভাইরাল বার্তায় বলা হয়েছে যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কাশি, জ্বরও অনেক সময় হয় না। শুধুমাত্র জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, শরীরের ওপরের পিঠে ব্যথা, নিউমোনিয়া এবং ক্ষুধা না-পাওয়ার ঘটনাও উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়।
আরও পড়ুন- নিরাপত্তার চরম অভাব! মাথা বাঁচাতে ক্রিকেটের হেলমেট পরেই সভায় বিধায়ক
পাশাপাশি, ভাইরাল বার্তায় আরও বলা হয়েছে যে COVID-Omicron XBB ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ভেরিয়েন্টের চেয়েও ৫ গুণ বেশি সংক্রমণ ঘটায়। এটিতে তুলনায় মৃত্যুর হারও বেশ বেশি। এই নতুন ভেরিয়েন্টের দৌলতে অবস্থার চরম তীব্রতায় পৌঁছতে রোগীর অত্যন্ত কম সময় লাগে। কখনও দেখা যায়, রোগের কোনও সুস্পষ্ট লক্ষণও ধরা পড়ছে না।
#FakeNews
This message is circulating in some Whatsapp groups regarding XBB variant of #COVID19.
The message is #FAKE and #MISLEADING. pic.twitter.com/LAgnaZjCCi— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) December 22, 2022
হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলা হয়েছিল যে ভাইরাসের এই ভেরিয়েন্ট নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল অঞ্চলে পাওয়া যায় না। তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের জন্য সরাসরি ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। কোভিড-ওমিক্রন এক্সবিবি নির্ণয় করা বেশ কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে, সেরে গিয়েও তাঁরা সারেননি। এর অনুনাসিক সোয়াব পরীক্ষাগুলোয় প্রায়ই রোগ ধরা পড়ে না। এমন হাজারো বানানো গল্পই ছড়িয়েছিল ভাইরাল বার্তায়।
Read full story in English