/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/cats-86.jpg)
গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কেন্দ্র।
দেশীয় বাজারে গমের দাম নিয়ন্ত্রণে গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কেন্দ্র। দেশীয় বাজারে দাম কমানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। শুক্রবার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছ এই নিষেধাজ্ঞা।
ভারত সরকার জানিয়েছে, যেসব রপ্তানি চালানের ক্রেডিট লেটার বিজ্ঞপ্তির আগে ইস্যু করা হয়েছে, শুধু সেগুলোর চালান যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। "গমের রপ্তানি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হয়েছে...," শুক্রবার রাতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের (DGFT) তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গত এপ্রিলে গমের দাম অনেকটাই বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আটার দাম প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। ফলে রুটি সবজি খেতেও মধ্যবিত্তের কালঘাম ছুটেছে।
মুদ্রাস্ফীতির জেরে গমের দাম বাড়ায় খুচরো বাজারে বাড়ছে আটার দাম। তথ্য বলছে, বাজারে আটার গড় দাম কেজি প্রতি ৩২.৯১ টাকায় পৌঁছেছে। যা গত এক বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। গত বছর এই সময় প্রতি কেজি আটার দাম ছিল ২৯.১৪ টাকা।
গত কয়েকদিনে অনেকটা বেড়েছে গমের দাম। আটার চাহিদা সমান থাকলেও এর উৎপাদন এবং মজুদ কমেছে, সঙ্গেই বাইরের দেশে রপ্তানি বেড়ে যাওয়াতেই এই সমস্যা দেখা গিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী শনিবারে আটার দাম সবথেকে বেশি ছিল পোর্ট ব্লেয়ারে এবং সবথেকে কম ছিল পুরুলিয়ায়। চারটি মেট্রো সিটির মধ্যে গড় আটার মূল্য সবথেকে বেশি মুম্বইতে, ৪৯ টাকা/ কেজি। তারপর দামের হিসেবে চেন্নাই ৩৪ টাকা/কেজি, কলকাতায় ২৯ টাকা/ কেজি, দিল্লিতে ২৭ টাকা/ কেজি।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃতদের পরিবার ও আহদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
নতুন বছর থেকেই ক্রমাগত আটার দাম বাড়ছে। সর্বভারতীয় স্তরেই এই মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণেই এই দাম আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় গমের চাহিদা বিদেশের বাজারে ক্রমশই বাড়ছে। এদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধিও সেই খাতে যুক্ত হয়েছে। গমের আটার পাশাপাশি বেকারি পাউরুটির দামও বেড়েছে। সরকার ২০২১ এবং ২০২২ সালের জন্য ১১০ মিলিয়ন টন গম উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছিল। এইবছরও আগাম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কৃষি কল্যাণ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়ছে, স্বস্তি দিতে ঝেঁপে বৃষ্টি আজও?
কর্মকর্তাদের মতামত অনুযায়ী, ২০২১-২২ সালে উৎপাদন বেশ কিছুটা কমবে। কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সুধাংশু পান্ডে জানান, গমের উৎপাদন ১০৫ মিলিয়ন টন হবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে গ্রীষ্মের প্রথমদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেও গমের ফলন কমতে পারে এমনটাও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
Read story in English