ভারত-চিন সীমান্তে সংঘর্ষের পর বুধবার নতুন করে দু'পক্ষের মেজর জেনারেল স্তরের বৈঠক হল। কিন্তু এ বৈঠকেও জট কাটল না। দু'পক্ষের আলোচনার পরও বৈঠকে কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলে খবর। উল্লেখ্য়, এ নিয়ে গত ২ দিনে ২ বার জিওসি ৩ ডিভিশনের সঙ্গে চিনের পিপি ১৪-এর বৈঠক হল।
অন্য়দিকে, সমস্ত সামরিক বাহিনীকে 'অ্য়ালার্ট' থাকতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। চিনা সীমান্তে পরিস্থিতিতে যে কোনও সময়ে সেনা মোতায়েনের জন্য় অ্য়ালার্ট থাকতে বলা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৮ জন জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের লে'র সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ দেশের বড় খবর: চিনকে হুঁশিয়ারি মোদীর-সর্বদল বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী-চিনা বিদেশমন্ত্রীকে ফোনে কড়া বার্তা জয়শংকরের-নমোকে খোঁচা রাহুলের
এদিকে, ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার আবহে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। লাদাখে পরিস্থিতি নিয়ে দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ”১৫ জুন গালওয়ান উপত্য়কায় সংঘর্ষের ঘটনায় চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী”। একইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে।
অন্য়দিকে, চিনা হামলার পর নীরবতা ভেঙে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদী বলেছেন, ”বীর জওয়ানদের বলিদান ব্য়র্থ হতে দেবে না দেশ। ভারত শান্তি চায়। কিন্তু উস্কানি দিলে, পাল্টা জবাব দিতে পারে ভারত”। ইন্দো-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার বিকেল ৫টায় সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন