Bangladesh crisis: 'সরকার স্বৈরাচারী হলে ক্ষোভ স্বাভাবিক…' বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে মুখে খুলেছেন আজাদ সমাজ পার্টির প্রধান ও উত্তরপ্রদেশের নাগিনা আসনের সংসদ চন্দ্রশেখর আজাদ। তিনি বলেন, আমাদের দেশেও এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ বাড়ছে। সরকারের উচিত এই ধরনের বিষয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, দেখা উচিত বাংলাদেশে এ অবস্থা কেন হলো? কখনও কখনও সরকার নিজেকে কর্তা ভাবতে শুরু করে এবং তারপরে এমন আইন প্রণয়ন শুরু করে যা জনসাধারণের কাছে এক বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তখন এমন পরিণতি ভোগ করতে হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশেও বেকারত্ব আকাশছোঁয়া। সেখানেও মূদ্রাস্ফীতি কবলে আম-আদমি'।
নাগিনার সাংসদ আরও বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতির কারণে আমাদের দেশের ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সরকারকে। বিক্ষোভ দমন না করে সরকারের উচিত আলোচনা করে তা কমানোর চেষ্টা করা। সরকার যদি স্বৈরাচারী হয়ে যায়। তাহলে জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের মনে রাখতে হবে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যার কারণে জনসাধারণ ক্ষুব্ধ। সরকারের উচিত তাদের স্বার্থ বিবেচনা করে আলোচনা করা।
এই সময় চন্দ্রশেখর আজাদ অগ্নিবীর যোজনা, কৃষকদের সমস্যা এবং সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কথা উল্লেখ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে এই সমস্যাগুলির কারণে মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। তার রাগও বাড়ছে সরকারের উপর'।
এদিকে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে, মঙ্গলবার দেশ থেকে আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জন সহযোগীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর সাতক্ষীরায় হামলা ও হিংসার ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ভারত হাইকমিশন ও কনস্যুলেটে নিয়োজিত অপ্রয়োজনীয় কর্মচারীদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এ বিষয়ে একটি পরামর্শও জারি করেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশেও হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি গোটা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে ভারত। ঢাকায় হাইকমিশন বা দূতাবাস ছাড়াও ভারতের চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে সহকারী হাইকমিশন রয়েছে।
আরও পড়ুন - < Bangladesh Crisis: পুড়ছে বাড়িঘর, লুঠ-খুন-ধর্ষণ, ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশে, প্রাণভয়ে ভারতে বহু মানুষ >
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশে এখন সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চাকরির কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলেও কয়েক সপ্তাহ পরে, হাসিনার অপসারণের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। ফলে হাসিনাকেতাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের হেল্পলাইন নম্বর
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য এখানে তিনটি হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে:
+8801958383679
+8801958383680
+8801937400591