Advertisment

দেশবাসীকে টিকা দিতে খরচ ৫০ হাজার কোটি টাকা! হিসাব ধরে এগোচ্ছে ভারত

মোদী সরকার ১৩০ কোটির দেশ ভারতের সব নাগরিকের জন্য মাথাপিছু ৬-৭ ডলার খরচ ধরেই এগিয়ে চলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, করোনা ভ্যাকসিন তৈরির দোরগোড়ায় রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, ভারতের মতো অতি জনবহুল দেশে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন দিতে যা খরচ পড়বে তা বিপুল। সেই অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা হিসাব করে রেখেছে ভারত সরকার। সূত্র অনুযায়ী, মোদী সরকার ১৩০ কোটির দেশ ভারতের সব নাগরিকের জন্য মাথাপিছু ৬-৭ ডলার খরচ ধরেই এগিয়ে চলেছে। জানা গিয়েছে, গণটিকাকরণের জন্য অনেক আগে থেকেই এই টাকার একটা হিসাব করে রেখেছে সরকার।

Advertisment

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা বলেছিলেন, ভারতের মতো দেশে ৮০ হাজার কোটি টাকা লাগবে হিমালয় থেকে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত সব নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য। এটা শুধু টিকার খরচ নয়, একইসঙ্গে পরিবহণ-বণ্টন ব্যবস্থা সব মিলিয়ে এই খরচ পড়তে পারে বলে একটা আভাস দিয়েছিলেন পুনাওয়ালা। যদিও তখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তাঁর কথার সঙ্গে সহমত হয়নি। কিন্তু সূত্রের খবর, ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ পড়তে পারে আন্দাজ করে চলেছে ভারত সরকার।

আরও পড়ুন বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন, ১৯ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি বিজেপির

চণ্ডীগড়ের আইএমইআরের অধ্যাপক মহেশ দেবনানি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "দেশজুড়ে ভ্যাকসিন বণ্টন একটা বিরাট বড় কাজ। চ্যালেঞ্জেরও।" বুধবার একটি ওয়েবিনারে তিনি বলেছেন, "পূর্ব পরিকল্পিত ছকে এগোতে হবে। হয়তো প্রথমেই সবাইকে টিকাকরণ করা যাবে না।" বায়োকন লিমিটেডের চেয়ারম্যান কিরণ মজুমদার-শ জানিয়েছেন, "বিশ্বের জনসংখ্যা ধরে এগোলে ৮ হাজার কার্গো বিমান দরকার শুধু সিঙ্গল ডোজ গোটা দুনিয়ায় সরবরাহ করার জন্য। ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, দেশজুড়ে খুব কম সময়ের মধ্যে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোল্ড চেন লজিস্টিক তৈরি করা।"

তিনি আরও বলেছেন, "আশা করছি নভেম্বরের শেষের মধ্যে এই বিষয়ে একটা প্ল্যান ছকে ফেলা যাবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও ব্যবহার করা যেতে পারে ভ্যাকসিন বণ্টনের জন্য।" তবে সম্প্রতি কেন্দ্র নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, ভারত করোনার শিখর পেরিয়ে এসেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে আশা করা যাচ্ছে করোনা বিদায় নিতে পারে দেশ থেকে। কিন্তু তাঁদের একটাই উদ্বেগ, উৎসবের মরশুম আর সামনে শীতকাল।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment